কোরবানির সময় যে ৪ বড় ভুল থেকে সাবধান থাকবেন

 

 

 

 

কোরবানির সময় যে ৪ বড় ভুল থেকে সাবধান থাকবেন

 

 

 

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন’। (সুরা কাউসার: ২)

 

তবে এই ইবাদত সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। যে ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দিতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই কোন ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দেয়।

উদ্দেশ্য সঠিক না হওয়া

 

অনেকে ভুল বা অশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করেন। যেমন: প্রতিবছর কোরবানি করে থাকি, এ বছর না করলে বাচ্চারা মন খারাপ করবে অথবা আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ছোট হয়ে যাব। আবার অনেকে চিন্তা করেন, মাংস তো এমনিতেই কিনতে হয়, তার চেয়ে কোরবানি করলে ফ্রেশ মাংস পাওয়া যাবে। এসব উদ্দেশ্য থাকলে কোরবানি করা আর না করা সমান; বরং সেটি শিরকে আসগরে পরিণত হতে পারে।

 

মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আমি যে বিষয়টি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, তা হলো শিরকে আসগর (ছোট শিরক)।

 

সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! শিরকে আসগর কী?

 

 

কোরবানির সময় যে ৪ বড় ভুল থেকে সাবধান থাকবেন

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

 

কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন’। (সুরা কাউসার: ২)

 

তবে এই ইবাদত সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। যে ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দিতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই কোন ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দেয়।

 

উদ্দেশ্য সঠিক না হওয়া

 

অনেকে ভুল বা অশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করেন। যেমন: প্রতিবছর কোরবানি করে থাকি, এ বছর না করলে বাচ্চারা মন খারাপ করবে অথবা আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ছোট হয়ে যাব। আবার অনেকে চিন্তা করেন, মাংস তো এমনিতেই কিনতে হয়, তার চেয়ে কোরবানি করলে ফ্রেশ মাংস পাওয়া যাবে। এসব উদ্দেশ্য থাকলে কোরবানি করা আর না করা সমান; বরং সেটি শিরকে আসগরে পরিণত হতে পারে।

 

মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আমি যে বিষয়টি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, তা হলো শিরকে আসগর (ছোট শিরক)।

 

সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! শিরকে আসগর কী?

 

তিনি বলেন, রিয়া বা লোক দেখানো আমল। কেয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেয়া হবে, তখন মহান আল্লাহ তাদের বলবেন, তোমরা যাদের দেখাতে তাদের কাছে যাও, দেখো তাদের কাছে তোমাদের পুরস্কার পাও কি না!’ (আহমদ, আল-মুসনাদ: ৫/৪২৮-৪২৯; হাইসামি, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১/১০২। হাদিসের মান- সহিহ)

 

তবে নিয়ত শুদ্ধ হলে আল্লাহ সকল কাজকে ইবাদতের মর্যাদা দেন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় কাজের ফলাফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’। (বুখারি: ১)

 

কসাইকে কোরবানির মাংস দেয়া

আরেকটি বড় ভুল হলো, কসাইকে আমরা অনেক সময় কোরবানির মাংস দিয়ে থাকি। অনেক অঞ্চলে দেখা যায়, জবাইকারীকে পশুর মাথা বা কিছু অংশ দিয়ে দেয়া হয়। এটি সম্পূর্ণ নাজায়েজ একটি কাজ।

 

এ বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবাদিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেয়া-নেয়া জায়েজ, তবে কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। (কিফায়াতুল মুফতি: ৮/২৬৫)।

 

 

কোরবানির সময় যে ৪ বড় ভুল থেকে সাবধান থাকবেন

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

 

 

 

কোরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন’। (সুরা কাউসার: ২)

 

তবে এই ইবাদত সম্পন্ন করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের ভুল হয়ে যায়। যে ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দিতে পারে। তাই চলুন জেনে নিই কোন ভুলগুলো কোরবানিকে অর্থহীন করে দেয়।

 

 

উদ্দেশ্য সঠিক না হওয়া

 

অনেকে ভুল বা অশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করেন। যেমন: প্রতিবছর কোরবানি করে থাকি, এ বছর না করলে বাচ্চারা মন খারাপ করবে অথবা আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে ছোট হয়ে যাব। আবার অনেকে চিন্তা করেন, মাংস তো এমনিতেই কিনতে হয়, তার চেয়ে কোরবানি করলে ফ্রেশ মাংস পাওয়া যাবে। এসব উদ্দেশ্য থাকলে কোরবানি করা আর না করা সমান; বরং সেটি শিরকে আসগরে পরিণত হতে পারে।

 

মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, আমি যে বিষয়টি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, তা হলো শিরকে আসগর (ছোট শিরক)।

 

সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! শিরকে আসগর কী?

 

তিনি বলেন, রিয়া বা লোক দেখানো আমল। কেয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের কর্মের প্রতিফল দেয়া হবে, তখন মহান আল্লাহ তাদের বলবেন, তোমরা যাদের দেখাতে তাদের কাছে যাও, দেখো তাদের কাছে তোমাদের পুরস্কার পাও কি না!’ (আহমদ, আল-মুসনাদ: ৫/৪২৮-৪২৯; হাইসামি, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ১/১০২। হাদিসের মান- সহিহ)

 

তবে নিয়ত শুদ্ধ হলে আল্লাহ সকল কাজকে ইবাদতের মর্যাদা দেন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় কাজের ফলাফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল’। (বুখারি: ১)

 

কসাইকে কোরবানির মাংস দেয়া

আরেকটি বড় ভুল হলো, কসাইকে আমরা অনেক সময় কোরবানির মাংস দিয়ে থাকি। অনেক অঞ্চলে দেখা যায়, জবাইকারীকে পশুর মাথা বা কিছু অংশ দিয়ে দেয়া হয়। এটি সম্পূর্ণ নাজায়েজ একটি কাজ।

 

এ বিষয়ে ফতোয়ার কিতাবাদিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘পশু জবাই করে পারিশ্রমিক দেয়া-নেয়া জায়েজ, তবে কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। (কিফায়াতুল মুফতি: ৮/২৬৫)।

 

 

 

‘অবশ্য ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরকে মাংস খাওয়ানো যাবে।’ (আহকামুল কুরআন জাসসাস: ৩/২৩৭; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪; আলবাহরুর রায়েক: ৮/৩২৬)

 

অনেক সময় কসাই অল্প টাকায়ও রাজি হয়ে যায়। কারণ, সে জানে যে কিছু মাংস পেলে তার অনেক লাভ হয়ে যাবে। তাই কোরবানিদাতাকে কসাই ঠিক করার আগেই তাকে জানিয়ে দেয়া উচিত যে, তুমি কোনো মাংস পাবে না। তোমাকে শুধু টাকাই দেয়া হবে। এতে সে রাজি না হলে তাকে দিয়ে কাজ করানো উচিত হবে না। তবে কসাই যদি দরিদ্র হয়ে থাকেন, অন্য দরিদ্রদের যেভাবে কোরবানির মাংস দিচ্ছেন, তাকেও সেভাবে দিতে পারেন। তবে তা কাজের শর্ত হতে পারবে না।

 

ভুল নিয়মে জবাই

কোরবানির পশুর জবাইয়ের সময় চারটি রগের তিনটি রগ কাটা নিশ্চিত করতে হবে। অনেক সময় জবাইকারী একটুখানি ছুরি চালানোর পর ছোট ছুরি দিয়ে পশুর গলায় জোরে আঘাত করেন, যা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও গর্হিত কাজ। এতে পশু জবাই হলো না বরং আঘাতে হত্যা করা হলো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে পশু জবাইয়ের যে স্থানে তীক্ষ্ণ ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, সেটি মূলত ‘মেরুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড’-এর অংশ। ছুরির আঘাতে পশুর স্পাইনাল কর্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেই পশুর দেহ থেকে মস্তিষ্কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে পশুটি হার্ট অ্যাটাক করে এবং মারা যায়। তখন এটি জবাই সাব্যস্ত না হয়ে হত্যায় পরিগণিত হয়।

 

আরও বড় একটি বিপদের বিষয় হচ্ছে, স্পাইনাল কর্ডের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কোরবানির পশুর দেহ থেকে সব রক্ত বের হতে পারে না। পশুর দেহের মাংশপেশিতেই রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আর শিরা-উপশিরা থেকে পুরোপুরি রক্ত বের হতে না পারলে গোশত দূষিত হয়ে যায়।

 

 

বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে রাখা

কোরবানির পর পশুর রক্ত, বর্জ্য, বিভিন্ন খণ্ডিত অংশ যত্রতত্র ফেলে দেয়া কঠিন গুনাহের কাজ। এতে মানুষকে কষ্ট দেয়া হয়। আর আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দেয়া খুবই অপছন্দ করেন। মনে রাখতে হবে, বর্জ্যের কারণে পচা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়, নালা নর্দমায় ফেলে দিলেও সমান কষ্ট হয়। তাই বর্জ্য অপসারণে নিজের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করতে হবে।