HSC পদার্থ ২য় পত্র ৫ম অধ্যায় তড়িৎ আবেশ ও পরিবর্তী ক্রিয়া ক প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

পদার্থ দ্বিতীয় পত্র পঞ্চম অধ্যায় এর গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর সমুহ

 

১। স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক কাকে বলে? [য.বো.-১৯, সি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ কোনো কুন্ডলীতে একক তড়িৎ প্রবাহিত হলে কুন্ডলিতে সংযুক্ত মোট চৌম্বক ফ্লাস্ককে ঐ কুন্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক বলে।

 

২। চৌম্বক ফ্লাস্ক কাকে বলে? [দি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ কোনো তলের ক্ষেত্রফল এবং ঐ তলের লম্ব বরাবর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপাংশের গুণফলকে ঐ তলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাস্ক বলে।

 

 

 

 

 

৩। একমুখী প্রবাহ কী?

 

উত্তরঃ সময়ের সাথে যে প্রবাহের দিক অপরিবর্তিত থাকে তাই একমুখী প্রবাহ।

 

৪। ট্রান্সফর্মার কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে?

 

উত্তরঃ ট্রান্সফর্মার তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

 

৫। বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পর্যায়কাল কত?

 

উত্তরঃ বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পর্যায়কাল

 

৬। ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি লিখ।[সি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো-তার কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান কুন্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক ফ্লাস্কের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।

 

 

 

 

 

 

৭। শীর্ষ গুণক কী?

 

উত্তরঃ প্রবাহের শীর্ষমান এবং বর্গমূল গড় বর্গমানের অনুপাতই শীর্ষ গুণক।

 

৮। ফ্যারাডের তাড়িত চৌম্বকীয় আবেশের প্রথম সূত্রটি লিখ।

 

উত্তরঃ ফ্যারাডের তাড়িত চৌম্বকীয় আবেশের প্রথম সূত্রটি হলো- যখনই কোনো বদ্ধ তার কুন্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক আবেশ রেখার সংখ্যা বা চৌম্বকফ্লাস্ক এর পরিবর্তন ঘটে তখনই উক্ত কুন্ডলীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।

 

৯। পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো মুখ্য কুন্ডলীতে তড়িৎপ্রবাহ একক হারে পরিবর্তিত হলে গৌণ কুন্ডলীতে যে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক বলে।

 

 

 

 

 

 

১০। ওয়েবার কী?

 

উত্তরঃ ওয়েবার হচ্ছে চৌম্বক ফ্লাক্সের একক। এক পাকের একটি কুন্ডলীর সাথে সংশ্লিষ্ট যে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্স এক সেকেন্ডে সুষমভাবে হ্রাস পেয়ে শূন্যতে নেমে আসলে ঐ কুন্ডলী এক ভোল্ট তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়, সে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্সই এক ওয়েবার বা সংক্ষেপে শুধু ওয়েবার।

 

১১। আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল কাকে বলে? [য.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ কোনো বদ্ধ বর্তনীতে তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক শক্তিই আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি।

 

১২। স্বকীয় আবেশ কী? [ঢা.বো.-১৬, সি.বো.-১৭, দি.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ একটিমাত্র বদ্ধ কুন্ডলীতে অসম তড়িৎ প্রবাহের দরুন চৌম্বক ফ্লাস্কের পরিবর্তনের ফলে অথবা কোনো চৌম্বক ক্ষেত্রে বদ্ধ কুন্ডলীর গতির ফলে যে তড়িৎ চৌম্বক আবেশ ঘটে, তাই স্বকীয় আবেশ।

 

১৩। লেঞ্জ-এর সূত্রটি লিখ।[সকল বো.-১৮, চ.বো.-১৫, ব.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ লেঞ্জ-এর সূত্রটি হলো-যে কোনো তড়িৎ চৌম্বক আবেশের বেলায় আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের দিক এমন হয় যে তা সৃষ্ট হওয়া মাত্রই যে কারণে সৃষ্টি হয় সেই কারণকেই বাধা দেয়।

 

১৪। পারস্পরিক আবেশ কাকে বলে? [ঢা.বো.-১৮, সি.বো.-১৮, ১৬, ব.বো.-১৬, দি.বো.-১৮]

 

উত্তরঃ পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কুন্ডলীর যেকোনো একটিতে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন ঘটলে অপরটিতে তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়। এ ঘটনাকে পারস্পরিক আবেশ বলে।

 

১৫। দিক পরিবর্তী প্রবাহ কী? [দি.বো.-১৬]

 

উত্তরঃ যে প্রবাহের দিক বা অভিমুখ একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে, তাকে দিক পরিবর্তী প্রবাহ বলে।

 

 

 

 

 

 

 

১৬। হেনরি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো কুন্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে এক অ্যাম্পিয়ার হারে পরিবর্তিত হলে যদি ঐ কুন্ডলীতে এক ভোল্ট তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়, তাহলে ঐ কুন্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ককে এক হেনরি বলে।

 

১৭। মুখ্য ও গৌণ কুন্ডলী কী?

 

উত্তরঃ তড়িৎবাহী কুন্ডলীকে মুখ্য কুন্ডলী এবং যে তারের কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হয় তাকে গৌণ কুন্ডলী বলে।

 

১৮। তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ কী?

 

উত্তরঃ একটি গতিশীল চুম্বক বা একটি গতিশীল তড়িৎবাহী কুন্ডলীর সাহায্যে অন্য একটি বদ্ধ বর্তনীতে ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক বল তথা তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতি হলো তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ।

 

১৯। ফ্লাস্ক ঘনত্ব কী?

 

উত্তরঃ কোনো বিন্দুর চারপাশে একক ক্ষেত্রফল নিয়ে অতিক্রমকারী চৌম্বক ফ্লাস্ককে ঐ বিন্দুতে ঐ তলের লম্ব বরাবর ফ্লাক্স ঘনত্ব বলে।

 

২০। প্রবাহের কম্পাঙ্ক কী?

 

উত্তরঃ পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে যত সংখ্যক পরিবর্তী চক্র সম্পন্ন করে, তাকে উক্ত তড়িচ্চালক বল বা প্রবাহের কম্পাঙ্ক বলে।

 

২১। বিস্তার কী?

 

উত্তরঃ যেকোনো অভিমুখে তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের সর্বোচ্চ মানকে বিস্তার বা শীর্ষমান বলে।

 

২২। তড়িচ্চালক শক্তির গড় বর্গের বর্গমূল মান কী?

 

উত্তরঃ কোনো পূর্ণচক্রের বিভিন্ন সময়কার তড়িচ্চালক শক্তির বর্গের গড়ের বর্গমূলকে তড়িচ্চালক শক্তির গড় বর্গের বর্গমূল মান বলে।

 

২৩। একমুখী প্রবাহ ডায়নামো কী?

 

উত্তরঃ যে ডায়নামোর সাহায্যে একমুখী তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায় তাকে একমুখী প্রবাহ ডায়নামো বলে।

 

২৪। বাংলাদেশে এর মান কত?

 

উত্তরঃ বাংলাদেশে বাড়ি ঘরে ব্যবহৃত ভোল্টের এ.সি. তড়িৎ সরবরাহ করা হয় বলে ই এখানে এর মান নির্দেশ করে।

 

২৫। কার্যকর প্রবাহ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ পরিবাহী প্রবাহের গড় বর্গের বর্গমূল মানকে কার্যকর প্রবাহ বলে।

 

২৬। দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য কী ধরনের ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়?

 

উত্তরঃ দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য আরোহী ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

২৭। মোটর কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তর করা যায় তাকে মোটর বলে।

 

২৮। তড়িৎ ক্ষেত্রের বিভব ও প্রাবল্যের মধ্যে সম্পর্ক লেখ।

 

উত্তরঃ তড়িৎ ক্ষেত্রের বিভব এবং প্রাবল্য হলে অর্থাৎ, বিভব=প্রাবল্য দূরত্ব।

 

২৯। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কী?

 

উত্তরঃ তড়িৎবিজ্ঞানে আমরা যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, তাদেরকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বলে।

 

৩০। ডায়নামোতে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের মান কিসের উপর নির্ভর করে?

 

উত্তরঃ আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান কুন্ডলীর পাকসংখ্যা, চুম্বকের শক্তি এবং আবর্তন বেগের উপর নির্ভর করে।

 

৩১। আকৃতি গুণাঙ্ক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ দিক পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহমাত্রার গড় বর্গের বর্গমূল মান এবং গড় মানের অনুপাতকে আকৃতি গুণাঙ্ক বলে।

 

৩২। ডায়নামো কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে যন্ত্র যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রুপান্তর করে তাকে জেনারেটর বা ডায়নামো বলে।

 

৩৩। পরিবর্তী প্রবাহের গড় মান কত?

 

উত্তরঃ পরিবর্তী প্রবাহের শীর্ষমানের 0.637 গুনক গড় মান বলে।

 

৩৪। ট্রান্সফর্মার কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে পরিবর্তী বিভবকে অপেক্ষাকৃত উচ্চ বা নিম্ন বিভবে পরিণত করা যায় তাকে রুপান্তরক বা ট্রান্সফর্মার বলে।

 

 

 

 

 

 

৩৫। আবেশহীন কুন্ডলী কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে কুন্ডলীর মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তন করা হলে তাতে তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয় না তাকে আবেশহীন কুন্ডলী বলে।

 

পঞ্চম অধ্যায়ঃ(ক)

 

১। স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক কাকে বলে? [য.বো.-১৯, সি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ কোনো কুন্ডলীতে একক তড়িৎ প্রবাহিত হলে কুন্ডলিতে সংযুক্ত মোট চৌম্বক ফ্লাস্ককে ঐ কুন্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ক বলে।

 

 

২। চৌম্বক ফ্লাস্ক কাকে বলে? [দি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ কোনো তলের ক্ষেত্রফল এবং ঐ তলের লম্ব বরাবর চৌম্বক ক্ষেত্রের উপাংশের গুণফলকে ঐ তলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাস্ক বলে।

 

৩। একমুখী প্রবাহ কী?

 

উত্তরঃ সময়ের সাথে যে প্রবাহের দিক অপরিবর্তিত থাকে তাই একমুখী প্রবাহ।

 

৪। ট্রান্সফর্মার কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে?

 

উত্তরঃ ট্রান্সফর্মার তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

 

৫। বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পর্যায়কাল কত?

 

উত্তরঃ বাংলাদেশে ব্যবহৃত বিদ্যুতের পর্যায়কাল

 

৬। ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি লিখ।[সি.বো.-১৯]

 

উত্তরঃ ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো-তার কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িচ্চালক বলের মান কুন্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বক ফ্লাস্কের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।

 

৭। শীর্ষ গুণক কী?

 

উত্তরঃ প্রবাহের শীর্ষমান এবং বর্গমূল গড় বর্গমানের অনুপাতই শীর্ষ গুণক।

 

৮। ফ্যারাডের তাড়িত চৌম্বকীয় আবেশের প্রথম সূত্রটি লিখ।

 

উত্তরঃ ফ্যারাডের তাড়িত চৌম্বকীয় আবেশের প্রথম সূত্রটি হলো- যখনই কোনো বদ্ধ তার কুন্ডলীতে আবদ্ধ চৌম্বক আবেশ রেখার সংখ্যা বা চৌম্বকফ্লাস্ক এর পরিবর্তন ঘটে তখনই উক্ত কুন্ডলীতে একটি তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়।

 

৯। পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো মুখ্য কুন্ডলীতে তড়িৎপ্রবাহ একক হারে পরিবর্তিত হলে গৌণ কুন্ডলীতে যে আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক বলে।

 

 

 

 

 

 

১০। ওয়েবার কী?

 

উত্তরঃ ওয়েবার হচ্ছে চৌম্বক ফ্লাক্সের একক। এক পাকের একটি কুন্ডলীর সাথে সংশ্লিষ্ট যে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্স এক সেকেন্ডে সুষমভাবে হ্রাস পেয়ে শূন্যতে নেমে আসলে ঐ কুন্ডলী এক ভোল্ট তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়, সে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্সই এক ওয়েবার বা সংক্ষেপে শুধু ওয়েবার।

 

১১। আবিষ্ট তড়িচ্চালক বল কাকে বলে? [য.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ কোনো বদ্ধ বর্তনীতে তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশে সৃষ্ট ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক শক্তিই আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি।

 

১২। স্বকীয় আবেশ কী? [ঢা.বো.-১৬, সি.বো.-১৭, দি.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ একটিমাত্র বদ্ধ কুন্ডলীতে অসম তড়িৎ প্রবাহের দরুন চৌম্বক ফ্লাস্কের পরিবর্তনের ফলে অথবা কোনো চৌম্বক ক্ষেত্রে বদ্ধ কুন্ডলীর গতির ফলে যে তড়িৎ চৌম্বক আবেশ ঘটে, তাই স্বকীয় আবেশ।

 

১৩। লেঞ্জ-এর সূত্রটি লিখ।[সকল বো.-১৮, চ.বো.-১৫, ব.বো.-১৭]

 

উত্তরঃ লেঞ্জ-এর সূত্রটি হলো-যে কোনো তড়িৎ চৌম্বক আবেশের বেলায় আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের দিক এমন হয় যে তা সৃষ্ট হওয়া মাত্রই যে কারণে সৃষ্টি হয় সেই কারণকেই বাধা দেয়।

 

১৪। পারস্পরিক আবেশ কাকে বলে? [ঢা.বো.-১৮, সি.বো.-১৮, ১৬, ব.বো.-১৬, দি.বো.-১৮]

 

উত্তরঃ পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কুন্ডলীর যেকোনো একটিতে তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন ঘটলে অপরটিতে তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়। এ ঘটনাকে পারস্পরিক আবেশ বলে।

 

১৫। দিক পরিবর্তী প্রবাহ কী? [দি.বো.-১৬]

 

উত্তরঃ যে প্রবাহের দিক বা অভিমুখ একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বতঃস্ফুর্তভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে, তাকে দিক পরিবর্তী প্রবাহ বলে।

 

১৬। হেনরি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো কুন্ডলীতে তড়িৎ প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে এক অ্যাম্পিয়ার হারে পরিবর্তিত হলে যদি ঐ কুন্ডলীতে এক ভোল্ট তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয়, তাহলে ঐ কুন্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুণাঙ্ককে এক হেনরি বলে।

 

১৭। মুখ্য ও গৌণ কুন্ডলী কী?

 

উত্তরঃ তড়িৎবাহী কুন্ডলীকে মুখ্য কুন্ডলী এবং যে তারের কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হয় তাকে গৌণ কুন্ডলী বলে।

 

১৮। তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ কী?

 

উত্তরঃ একটি গতিশীল চুম্বক বা একটি গতিশীল তড়িৎবাহী কুন্ডলীর সাহায্যে অন্য একটি বদ্ধ বর্তনীতে ক্ষণস্থায়ী তড়িচ্চালক বল তথা তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতি হলো তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশ।

 

১৯। ফ্লাস্ক ঘনত্ব কী?

 

উত্তরঃ কোনো বিন্দুর চারপাশে একক ক্ষেত্রফল নিয়ে অতিক্রমকারী চৌম্বক ফ্লাস্ককে ঐ বিন্দুতে ঐ তলের লম্ব বরাবর ফ্লাক্স ঘনত্ব বলে।

 

২০। প্রবাহের কম্পাঙ্ক কী?

 

উত্তরঃ পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে যত সংখ্যক পরিবর্তী চক্র সম্পন্ন করে, তাকে উক্ত তড়িচ্চালক বল বা প্রবাহের কম্পাঙ্ক বলে।

 

২১। বিস্তার কী?

 

উত্তরঃ যেকোনো অভিমুখে তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের সর্বোচ্চ মানকে বিস্তার বা শীর্ষমান বলে।

 

 

 

 

 

২২। তড়িচ্চালক শক্তির গড় বর্গের বর্গমূল মান কী?

 

উত্তরঃ কোনো পূর্ণচক্রের বিভিন্ন সময়কার তড়িচ্চালক শক্তির বর্গের গড়ের বর্গমূলকে তড়িচ্চালক শক্তির গড় বর্গের বর্গমূল মান বলে।

 

২৩। একমুখী প্রবাহ ডায়নামো কী?

 

উত্তরঃ যে ডায়নামোর সাহায্যে একমুখী তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায় তাকে একমুখী প্রবাহ ডায়নামো বলে।

 

২৪। বাংলাদেশে এর মান কত?

 

উত্তরঃ বাংলাদেশে বাড়ি ঘরে ব্যবহৃত ভোল্টের এ.সি. তড়িৎ সরবরাহ করা হয় বলে ই এখানে এর মান নির্দেশ করে।

 

২৫। কার্যকর প্রবাহ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ পরিবাহী প্রবাহের গড় বর্গের বর্গমূল মানকে কার্যকর প্রবাহ বলে।

 

২৬। দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য কী ধরনের ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়?

 

উত্তরঃ দূর-দূরান্তে তড়িৎ প্রেরণের জন্য আরোহী ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়।

 

 

 

 

২৭। মোটর কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তর করা যায় তাকে মোটর বলে।

 

২৮। তড়িৎ ক্ষেত্রের বিভব ও প্রাবল্যের মধ্যে সম্পর্ক লেখ।

 

উত্তরঃ তড়িৎ ক্ষেত্রের বিভব এবং প্রাবল্য হলে অর্থাৎ, বিভব=প্রাবল্য দূরত্ব।

 

২৯। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কী?

 

উত্তরঃ তড়িৎবিজ্ঞানে আমরা যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, তাদেরকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বলে।

 

৩০। ডায়নামোতে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের মান কিসের উপর নির্ভর করে?

 

উত্তরঃ আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান কুন্ডলীর পাকসংখ্যা, চুম্বকের শক্তি এবং আবর্তন বেগের উপর নির্ভর করে।

 

৩১। আকৃতি গুণাঙ্ক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ দিক পরিবর্তী তড়িচ্চালক শক্তি বা প্রবাহমাত্রার গড় বর্গের বর্গমূল মান এবং গড় মানের অনুপাতকে আকৃতি গুণাঙ্ক বলে।

 

 

 

 

 

 

 

৩২। ডায়নামো কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যন্ত্র যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রুপান্তর করে তাকে জেনারেটর বা ডায়নামো বলে।

৩৩। পরিবর্তী প্রবাহের গড় মান কত?

উত্তরঃ পরিবর্তী প্রবাহের শীর্ষমানের 0.637 গুনক গড় মান বলে।

৩৪। ট্রান্সফর্মার কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে পরিবর্তী বিভবকে অপেক্ষাকৃত উচ্চ বা নিম্ন বিভবে পরিণত করা যায় তাকে রুপান্তরক বা ট্রান্সফর্মার বলে।

৩৫। আবেশহীন কুন্ডলী কাকে বলে?

উত্তরঃ যে কুন্ডলীর মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তন করা হলে তাতে তড়িচ্চালক বল আবিষ্ট হয় না তাকে আবেশহীন কুন্ডলী বলে।