বালাকোটের যুদ্ধের বর্ণনা দাও।
ভূমিকা: কয়েকটি যুদ্ধে শিখদের পরাজিত করে মুজাহিদরা ১৮৩০ সালে পেশোয়ার দখল করে। এতে করে পেশোয়ারে এক শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রের ভিত রচিত হয়। সৈয়দ আহমদ শহীদ উক্ত রাষ্ট্রের ইমাম হিসেবে আখ্যায়িত হন। কিন্তু অচিরেই পাঠানদের মধ্যে দলগত বিরোধ দেখা দেয়ায় মুজাহিদরা ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ দুর্বলতার সুযোগে রণজিৎ সিং পেশোয়ার পুনরুদ্ধার করেন।
বালাকোর্টের যুদ্ধের বর্ণনা: সৈয়দ আহমদ শহীদ পেশোয়ার ত্যাগ করেন এবং বালাকোটে সামরিক কেন্দ্র স্থানান্তর করেন। রণজিৎ সিং এর পরাক্রমশালী খানসা বাহিনী সৈয়দ আহমদের কর্মকাণ্ড বানচালের উদ্দেশ্যে বালাকোট আক্রমণ করে, শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। শিখদের তুলনায় মুজাহিদদের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় যুদ্ধে মুজাহিদরা পরাজিত হয়। ১৮৩১ সালে শিখ সেনাপতি শের সিং শিখ যুদ্ধের সময় বালাকোট দখল করে নেন এবং যুদ্ধে সৈয়দ আহমদকে পরাজিত ও নিহত করেন। এ যুদ্ধে শাহ ইসমাঈলসহ আরো কয়েকজন বিশিষ্ট ওয়াহাবি নেতাসহ বহু সাধারণ ওয়াহাবি মুজাহিদ নিহত হন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৮৬০ সাল থেকে ইংরেজ সেনার সাথে ওয়াহাবিদের খণ্ড যুদ্ধ চলে। এর ফলে ওয়াহাবিদের আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৮৮০-৯০ এর দশক পর্যন্ত ওয়াহাবিগণ উপজাতিদের সহায়তায় প্রতিরোধ চালান। ১৮৯০ সালে এর দশকে ওয়াহাবি আন্দোলনের সমাধি ঘটে।