জনশিক্ষা সধারণ সমিতি (General Committee of public Institution) সম্বন্ধে বর্ণনা কর

জনশিক্ষা সধারণ সমিতি (General Committee of public Institution) সম্বন্ধে বর্ণনা কর

 

ভূমিকা: ইংরেজ সরকার ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে জনশিক্ষা সাধারণ সমিতি (General committee of public institution) গঠন করে এ সমিতির কাজ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণের শিক্ষার তত্ত্বাবধান ও উন্নয়ন করা। নিম্নে প্রশ্নালোকে জনশিক্ষা সমিতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

 

 

জনশিক্ষা সাধারণ সমিতি (General committee institution): ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে কোম্পানির শাসকগণ বুঝতে পারেন যে, সরকার সাম্রাজ্যের of public instit্যাপারে সম্পূর্ণভাবে উদাসীন থাকতে পারে না। শিক্ষার কিছুটা দায়িত্ব সরকারের গ্রহণ কার সামাজ্যের প্রজাদের শিক্ষার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে উদাসীর থাকর্ষের প্রজাদের শিক্ষার জন্য কোম্পানির বাজেটে একলক্ষ টাকা বরাদ্দ ৮১২৩ সালের রেক্টর আইনে এ টাকা সংস্কৃত শিক্ষায় ব্যয় করার জন্য সুপারিশ করেন। আরবি-ফারসি শিক্ষার জন্য অর্থ সাহায্যের জন্য ডাইরেক্টর বোরে নি টা শিক্ষাব্যবস্থার তত্ত্বাবধানের জন্য সরকার ১৮২৩ সালে জনশিক্ষা সাধারণ সমিতি (General committee of পরবর্তীতে এর বিপরীত অবস্থা ঘটে। শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম দুর্নীতি না হয় সে ব্যপারে তদারকি করা। যদিও এইচ, উইলসন কর্মসচিব নিযুক্ত হন। তিনি সংস্কৃত শিক্ষার ভক্ত ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি হিন্দু কলেজ ও সংস্কৃত কলেজের জন্য প্রচুর সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। মাদ্রাসার জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ করেন নি। ১৮২৫ সালে জনশিক্ষা সাধারণ সমিতি কলকাতায় একটি স্বতন্ত্র কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব করে এবং হিন্দু-কলেজের উন্নতির জন্য সুপারিশ করে। এর ফলে হিন্দু কলেজে উচ্চ ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা হয়। সংস্কৃত কলেজেও ইংরেজি ক্লাস খোলা হয়। কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বিলম্ব করা হয়।১৮২৯ সালে মাদ্রাসায় ইংরেজি ক্লাস শুরু হয়।

পর্যালোচনা : জনশিক্ষা সাধারণ সমিতির কার্যক্রম বিশেষণ করলে দেখা যায় ভারতবর্ষে শিক্ষার ক্ষেত্রে ভালই উন্নতি হয়েছে। কলেজগুলোতে ইংরেজি শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্কৃত শিক্ষারও উন্নয়ন ঘটেছে। নতুন কলেজও এ সমিতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ উন্নয়নের ফল ভোগ করেছে হিন্দু ছাত্ররা। মুসলমানরা তেমন কোন সুফল ভোগ করে নি। জনশিক্ষা সমিতি গঠনের পূর্বে যেমন ভারতে শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য ছিল পরেও সেই বৈষম্য, থেকেই গেল।সমিতি মুসলমানদের শিক্ষার ব্যাপারে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয় নি। আরবি ফারসি শিক্ষার প্রতিও এটি কোনরূপ দৃষ্টি দেয় নি। শুধুমাত্র কলকাতা মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়; তাও ছিল আবার অত্যন্ত নিম্নমানের।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, জনশিক্ষা সাধারণ সমিতি যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা পুরোপুরি নিষ্ফল হয় নি। কারণ এর দ্বার সুযোগ প্রাপ্ত হিন্দু সম্প্রদায় শিক্ষার ক্ষেত্রে আরো বেশি সুযোগ লাভ করল এবং অধিকার বঞ্চিত মুসলিম সম্প্রদায় তাদের শিক্ষার অধিকার পায় নি।