স্যার চার্লস উড শিক্ষাবিস্তারের জন্য কী কী সুপারিশ করেন?
ভূমিকা: ১৮৫৪ সালে বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড শিক্ষানীতির উপর একটি ডেসপ্যাচ পাঠান। উডের ডেসপ্যাচকে ভারতের ইংরেজি শিক্ষাস্তরের প্রধান সনদ বা ম্যাগনাকার্টা বলা হয়। উডের ডেসগ্যাচের মূলকথা ছিল যে, “শিক্ষাবিস্তারের কাজ হলো সরকারের দায়িত্ব। এজন্য তত্ত্বের উপর নির্ভর না করে সরকারে সক্রিয় নীতি গ্রহণ করতে হবে।স্যার চার্লস উডের শিক্ষাবিস্তারের সুপারিশ: স্যার চার্লস উড শিক্ষাবিস্তারের জন্য বহুবিধ সুপারিশ করেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
১. কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
২. শিক্ষার উন্নতি ও স্কুলগুলোর পরিচালনার জন্য সরকারের একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা দপ্তর গঠন করা দরকার।
৩. শিক্ষক শিক্ষণ বিদ্যালয়ের জন্য সুপারিশ করা হয়।
৪ . প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।
৫. বিদ্যালয়গুলোকে সরকারি সাহায্য বা অনুদান দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
৬. উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রি ভাষা সূত্র শিক্ষা দেয়ার সুপারিশ করেন।
৭. বৃত্তি শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলেন।
৮. স্ত্রী শিক্ষার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে বলেন।তার সুপারিশ অনুযায়ী ১৮৫৭ সালে কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। ১৮৫৫ সালে শিক্ষা দপ্তর বা ডিরেক্টরেন্ট অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন খোলা হয়। ১৮৫৫ সালে ৭৯টি উচ্চ ইংরেজি এবং ১৪০টি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয় সরকারি সাহায্য পায়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, চার্লস উডের ডেসপ্যাচে যে শিক্ষাব্যবস্থার সুপারিশ করা হয় তা ভারতবাসীকে চিরদিন কেরানি করে রাখে। ভারতবাসীর মেধা বিকাশের কোন সুযোগ ছিল না। তাই তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও সফল হয় নি।