সিভিল সার্ভিস সংস্কার কেমন ছিল?

সিভিল সার্ভিস সংস্কার কেমন ছিল?

ভূমিকা: আদিকাল থেকে বাংলা ছিল ধনসম্পদের আকর। বাংলার ধনসম্পদে আকৃষ্ট হয়ে আদিকাল থেকে বহু বিদেশি এসেছে এদেশে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্যের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা। এমন উদ্দেশ্য নিয়েই ইংরেজরাও এদেশে এসেছিল। কিন্তু কালক্রমে তাদের উদ্দেশ্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্র হতে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চলে যায়।

 

এসবের পরিণতিতে হয় ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধ।

 

সিভিল সার্বিস সংস্কার: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে সিভিল সার্ভিসের সংস্কার একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসময় কোম্পানির কলকাতাহু কাউন্সিলের সভ্যগণ প্রায়ই বিভিন্ন স্থানের বাণিজ্য কুঠির প্রধান এর কাজ গ্রহণ করে কলকাতার বাইরে চলে যেতেন। কারণ তাতে নানা অবৈধ উপায়ে অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ পাওয়া যেত। ফলে কলকাতা কাউন্সিলের কাজে ব্যাঘাত ঘটতো। ক্লাইভ এ অবস্থার পরিবর্তন করে কোম্পানির সিভিল সার্ভিসের সংস্কার সাধন করেন। তিনি দুর্নীতিপরায়ণ কাউন্সিলরদের পাঁচ জনকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করেন এবং অপর তিন জনকে কাউন্সিলের সদস্য পদ হতে অপসারিত করেন। এভাবে তিনি উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের দুর্নীতিপরায়ণতার অবসান ঘটান। এর মাধ্যমে বাংলার মানুষেরও যথেষ্ট উপকার হয়েছিল। তবে এর কিছু অসুবিধাও ছিল।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, সিভিল সার্ভিসের সংস্কার ছিল ইংরেজদের এক উলেখযোগ্য কর্মকাণ্ড। এটি অনেক আলোচিত হয়েছিল।