ইংরেজরা কিভাবে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি লাভ করেছিল?

ইংরেজরা কিভাবে বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি লাভ করেছিল?

ভূমিকা: ভারতবর্ষের ইতিহাসের এক বিশাল অংশ জুড়ে আছে ইংরেজ বেনিয়াদের শাসনকালের কথা। বাংলার অমূল্য ধনসম্পদের টানে তারা এদেশে এসেছিল। প্রথম দিকে তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক না হয়ে বাণিজ্যিক থাকলেও এক সময় তাদের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাভাবনা জেগে উঠেছিল। এরই পরিণতি গিয়ে দাঁড়ায় পলাশীর যুদ্ধ।

 

বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি লাভ: ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে কুঠি স্থাপনের লক্ষ্য ক্যাপ্টেন হকিন্স রাজা প্রথম জেমসের একটি সুপারিশপত্র নিয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সাথে সাক্ষাৎ করে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতীয় বণিক সম্প্রদায় ও পর্তুগিজদের বিরোধিতার কারণে তাঁর উদ্দেশ্য সফল হয় নি। এর ফলশ্রুতিতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দু’খানি জাহাজ ক্যাপ্টেন বেস্টের নেতৃত্বে পর্তুগিজ নৌবহর বিধ্বস্ত করে সুরাট বন্দরে অবস্থান গ্রহণ করে। ক্যাপ্টেন বেস্টের সাফল্যে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১৩ সালে এক ফরমান দ্বারা সুরাটে ইংরেজদের বাণিজ্য কুঠি নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেন। এর ফলে বাংলাতে ইংরেজদের অনেকগুলো কুঠি নির্মিত হয় বিভিন্ন স্থানে।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ইংরেজরা এসেছিল তাদের সর্বোচ্চ শোষণ ক্ষমতার মাধ্যমে বাংলার মানুষের সৌভাগ্যের সূর্যের তেজ বিসর্জন দিতে। নানা চেষ্টার মাধ্যমে তারা তাদের উদ্দেশ্য সফলও করেছিল।