বক্সারের যুদ্ধের ৪টি কারণ উলেখ কর।
ভূমিকা: ইংরেজরা বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার আত্মীয়স্বজন ও দরবারের লোকজনের সাথে ষড়যন্ত্র করে পলাশীর যুদ্ধে প্রহনসমূলকভাবে নবাবকে পরাজিত ও নিহত করে। এরপর নবাব মীর কাদিমের সাথে তাদের দ্ব্য বাধে এবং এর চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে ১৭৬৪ সালে ঐতিহাসিক বক্সারের যুদ্ধে। নানাবিধ কারণে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
বক্সারের যুদ্ধের কারণ : কতিপয় কারণে বাংলার নবাব মীর কাসিম ও ইংরেজ কোম্পানির মধ্যে বক্সারের প্রান্ত রে ১৭৬৪ খিস্টাব্দে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের কারণগুলো বিশেষণ করলে নিম্নরূপ দাঁড়ায়:
১. চুক্তির বিপরীত : মীরজাফরের অযোগ্যতা, অকর্মণ্যতা এবং ইংরেজদেরকে প্রতিশ্রুত অর্থ আদায়ের অক্ষমতায় বিরক্ত হয়ে ইংরেজ কোম্পানি তাকে অপসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে ইংরেজ কোম্পানি কলকাতা প্রেসিডেন্সির গভর্নর ভ্যান্সিটি ও মীর কাসিমের মধ্যে গোপন শলাপরামর্শের মাধ্যমে একটি সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। সন্ধির শর্ত মোতাবেক মীরজাফর নামমাত্র নবাব থাকতেন এবং মীর কাসিম নায়েব সুবাদার হবেন। শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে তাঁর পূর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা। তার বিপরীত। ফলে মীর কাসিমের উপর ইংরেজরা তখন থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।
২ কমলাদের অবমাননা: ১৬৫৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া রিও বাণিজ্য শুল্ক হতে মুক্তি পায়। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পান ৩ হাজার টাকা দেবার বিনিময়ে শতকরা আড়াই ভাগ চিরায়্যবিয়ার করে। ফলে নবাবের রাজস্বে পপির খেটোকা দোকান ও এর কর্মচারীরা কয়েকটি বিশেষ থেকে এ প্রাপ্ত বেরে কথারা ফলে মীর কাসিম দেশীয় প্রজাদের উপর থেকেও শুল্ক উনি দিয়ে বাণিজ্য করার অধিকার দেয়। এতে ইংরেজ কোম্পানি চরমভাবে তাঁর উপর রেগে যান।
৩. প্রজাদের উপর অত্যাচার: নবাবের উপর ব্যক্তিগত অপমান ছাড়াও কোম্পানির কর্মচারীরা বাংলার জনগন্তে উপর কিনতে তারা দ্যায়ন কাট মর চেয়ে উপর নানা অত্যাচার ও উৎপীড়ন করতো। দেশীয় বাকিরা পেত না। অপরপক্ষে ইংরেজরা তাদের নিকট হতে চড়া দা দেশীয় বণিকদেরকে কিনতে বাধ্য করতো।
৪. বড়যন্ত্রকারীদের গৃহবন্দির সিংহাসনে আরোহণের পর মীর কাসিম তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মুরলীধর, রাজবল জগৎশেঠ প্রমুখের নাকের গৃহজাত সংবো তাদেরকে মুঙ্গে বন্দি করেন। এ দমননীতি ইংরেজদের স্বার্থের পরিপন্থি হওয়া নবাব মীর কাসিমের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত বক্সারের যুদ্ধ মূলত মীর কাসিম বাংলা স্বাধীনতার শেষ আশা আর ইংরেজ কোম্পানির রাজতন্ত্র দখলের চূড়ান্ত যুদ্ধ। মীর কাসিম যুদ্ধ করে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। আর ইংরেজগণ ক্ষমতা দখল করে তাদের সাম্রাজ্যবাদীর বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।