দ্বৈতশাসন প্রবর্তন সম্পর্কে লেখ।

দ্বৈতশাসন প্রবর্তন সম্পর্কে লেখ।

ভূমিকা: বাংলা ছিল প্রাচীন কাল থেকেই ধনসম্পদের আকর। এ সম্পদের টানে বহু বিদেশি বহু সময়ে বাংলায় এসেছে। এ নিয়মে ইংরেজরাও এদেশে এসেছিল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রথম দিকে তাদের ইচ্ছা ছিল মূলধন গুজিয়ে দেশে ফিরে যাওয়া। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের এ ইচ্ছা সাম্রাজ্য স্থাপনের ইচ্ছায় পরিণত হয়। তখন থেকে শুরু হতে থাকে বাংলার মানুষের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ।

 

দ্বৈতশাসন প্রবর্তন: বাংলার দেওয়ানি ক্ষমতা লাভ করার পর ক্লাইভ কোম্পানির কর্মচারীবর্গের দেশীয় রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা, তাদের মধ্যকার ব্যাপক দুর্নীতি এবং সর্বোপরি দেশীয় বণিক সম্প্রদায়ের ঈর্ষা প্রভৃতির কথা বিবেচনা করে ক্লাইভ দেওয়ানির কাজ প্রকাশ্যভাবে কোম্পানির হাতে গ্রহণ করলেন না। দেওয়ানি সংক্রান্ত ‘কাজের প্রধান দুটি দায়িত্ব ছিল রাজস্ব আদায় ও দেওয়ানি মামলার বিচার। এছাড়া নবাবের উপর বাকি ক্ষমতা থেকে গেল। রাজস্বের মালিক এখন থেকে হলো ইংরেজ কোম্পানি। ফলে নবাব পেল ক্ষমতাহীন দায়িত্ব আর কোম্পানি লাভ করলো দায়িত্বহীন ক্ষমতা। এ অদ্ভূত ব্যবস্থাই ইতিহাসে দ্বৈতশাসন নামে পরিচিত। ক্লাইভের দূরদর্শিতার পরিচয় ছিল এটির প্রবর্তন।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, দ্বৈতশাসন প্রবর্তনের ফলে বাংলার মানুষের চরম ক্ষতি হতে লাগলো। আর অন্যদিকে, ইংরেজদের লাভের খাতা পরিপূর্ণ হতে থাকে।