দ্বৈতশাসনের কারণ কী ছিল?

দ্বৈতশাসনের কারণ কী ছিল?

ভূমিকা: আদিকাল থেকে বাংলা ছিল ধনসম্পদে সমৃদ্ধশালী। বাংলার ধনসম্পদে আকৃষ্ট হয়ে বহু আগে থেকেই মানুষ এদেশে আসতে শুরু করেছিল। এ দলের মধ্য ইংরেজরা ছিল অন্যতম। তাদের আগমনে বাংলায় এক নতু অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।

 

দ্বৈতশাসনের কারণ: মুঘল সম্রাটের সাথে চুক্তি সম্পাদন করার পর ক্লাইভ ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলার নাবালান

 

নবাব নাজিমউদ্দৌলার সাথে অপর একটি চুক্তি সম্পাদন করেন। এ চুক্তির শর্ত অনুসারে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্বপ্রা কোম্পানি নবাবের শাসনকার্য চালাবার জন্য বার্ষিক ৫৩ লক্ষ টাকা তাঁকে দেবে। এ অর্থ দিয়ে নবাব তাঁর ব্যক্তিগত খর চালাবেন। এদেশে কোম্পানির কুঠি যতদিন বলবৎ থাকবে ততদিন এ চুক্তির কোন নড়চড় হবে না। নবাব ও কোম্পা উভয়েই চুক্তি মানতে বাধ্য থাকবেন। তাই দেখা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ এবং নবাবের সাথ যে চুষি উভয় হতে জন্মলাভ করেছিল দ্বৈত শাসনব্যবস্থা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করা সত্ত্বেও কোম্পানি সে দায়ি পালন করতে রাজি ছিল না। কারণ এতে নানাপ্রকার অসুবিধা ছিল। ক্লাইভ দেখলেন যে, কোম্পানির পক্ষে রাজস্ব আদা করার লোকজনের অভাব ছিল। তাছাড়া বিদেশি অপরাপর কোম্পানি এতে ঈর্ষান্বিত হতে পারে। যে কারণে তিনি আড়া হতে বাংলার শাসনব্যবস্থা এবং অর্থভাণ্ডারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এ ধারণা থেকে ক্লাই দ্বৈতশাসনের প্রবর্তন করেন। দ্বৈতশাসন অনুসারে একই ব্যক্তিকে বাংলার নবাব এবং ইংরেজ কোম্পানি দুটি ভিন্ন পা নিয়োগ করেছিলেন। এতে বাংলার নবাব পান ক্ষমতাবিহীন দায়িত্ব আর কোম্পানি পায় দায়িত্ববিহীন ক্ষমতা। কিন কোম্পানি যে রাজস্ব ক্ষমতা পান তা সরাসরি কোম্পানির কর্মচারীর মাধ্যমে আদায় না করে বাংলার রাজস্ব আদায় করা দায়িত্ব দেয়া হয় রেজা খানকে এবং বিহারের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় সেতাব রায়কে। বাংলার শাসনব্যবস্থ উপর নবাব এবং কোম্পানির এ যে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ তাই দ্বৈত শাসনব্যবস্থা।