ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী?

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কী?

ভূমিকা: ভারতবর্ষে কোম্পানি শাসনের সবচেয়ে বড় কুফল হলো ছিয়াত্তরের মন্বন্তর। কোম্প বক্সারের যুদ্ধের পর বণিক থেকে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তবে প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্যে জড়িত না হলেও নিয়া ক্ষমতা হাতে রাখেন এবং নীতি প্রণয়ন করেন। রবার্ট ক্লাইভের এ নীতি প্রণয়নের ফলে বাংলার ভাগ্যাকাশে যখন যে দুর্দিন তখন ক্লাইড স্বদেশে ফিরে যান। কিন্তু ভারতবর্ষে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যান সেজন্য সংঘটিত। ১৭৬৯-৭০ সালের দুর্ভিক্ষ।

 

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর: ক্লাইভ দ্বিতীয়বার ভারতবর্ষে গভর্নর হয়ে আসার পর আবার স্বদেশে চলে যান। কি তাঁর স্থাপিত শাসনব্যবস্থা পরবর্তী গভর্নররা চালু রাখেন। এ ধরনের শাসনব্যবস্থার ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কার্যকলাপে শিল্প বাণিজ্যে ধ্বংস নেমে আসে। ভেরেলেস্ট ও কার্টিয়ার ইংরেজ কর্মচারীদের অত্যাচারও যথেচ্ছ ব্যঝ বন্ধ করার জন্য পরিদর্শক নিযুক্ত করলেও তা দূর হয় নি। তাই এসময় রাজস্ব ব্যবস্থার আদায় সম্পর্কে নতুন ব্যবা প্রবর্তন করার ফলে কৃষির যথেষ্ট ক্ষতি হয়। বাংলায় এরূপ অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৭৭০ সালে এক দার দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, যা ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে খ্যাত। কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করার পর শুরু করেন বাংলার রাখ বৃদ্ধি করা এবং তা আদায় করার জন্য চাপ দেয়া। রাজস্বের পরিমাণ নির্দিষ্ট না থাকায় কর্মচারীরা অতিরিক্ত রাজা আদায় করে। এছাড়া ১৭৬৮ সালে বাংলা ও বিহারে অনাবৃষ্টির কারণে শস্যের ক্ষতি হয়। ফলে এক পর্যা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। তাই একদিকে খাদ্যের অভাব, অন্যদিয়ে কর্মচারীদের অত্যাচারে বাংলা শশ্মশানে পরিণত হয়। বাংলার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এতে প্রাণ হারায়। এসময় বাংলা অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন ভেঙে পড়ে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৭৬৯-৭০ সালে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তা ছিল কোম্পনি শাসনের দুর্নীতির ফলে সৃষ্ট। এ কারণে বাংলার মানুষের দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে পতিত হতে হয়।