বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল কী ছিল?
ভূমিকা: বাংলার তথ্য ভারতবর্ষের ইতিহাসে বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী এ যুদ্ধে নীরকে দিনের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ইংরেজ পর বাংলা হতে দিলি পর্যন্ত আর কোন শক্তিই ইংরেজদের প্রতিরোধ করার মতো ছিল না.।
বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল: নিম্নে বক্সারের যুদ্ধের ফলাফল আলোচনা করা হলো: ছল।কিছু বন্ধারের যুদ্ধে জাপানীরা একে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের ফলে ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ চাল হয়েছিল। কিন্তু বক্সারের যুদ্ধে জয়লাভ করে তারা এদেশের শাসনদণ্ড হাতে নিয়ে নেয়।
২. উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা: বক্সারের যুদ্ধের ফলে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। রবার্ট ক্লাইভ এখন লর্ড ক্লাইভ হিসেবে গভর্নর হয়ে আসেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তারা গোটা ভারতবর্ষে ইংরেজ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় পৌনে দু’শত বছর তারা রাজত্ব করে। ঐতিহাসিক ব্রান বলেছেন, “বক্সারের যুদ্ধের ফলাফলের উপর ভারতবর্ষের ভাগ্য নির্ভরশীল ছিল।”
৩. মুসলিম শক্তির অধঃপতন: বক্সারের যুদ্ধে পরাজয়ের সাথে সাথে মুসলিম শক্তির ধ্বংস এবং ইংরেজদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। শিক্ষা সংস্কৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে মুসলমানরা এক চরম অধঃপতনের শিকার হয়।
৪. হিন্দুদের উত্থান পর্ব: এ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের ফলে হিন্দুগণ ইংরেজদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। ইংরেজদের সহযোগিতায় শিক্ষাদীক্ষায় তারা এগিয়ে যায়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বক্সারের যুদ্ধ ব্রিটিশ ভারতীয় ইতিহাসে অত্যধিক তাৎপর্যপূর্ণ। এ যুদ্ধে মীর কাসিমের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা তথা ভারতবর্ষের উপর ইংরেজ আধিপত্য চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।