ঘসেটি বেগম কে ছিলেন?
ভূমিকা: নবাব আলীবর্দী খানের জীবিত কোন পুত্র সন্তান ছিল না। তাঁর তিন কন্যা ছিল। তিন কন্যাকেই তিনি তাঁর বড় ভাই হাজী আহমদের তিন পুত্রের সঙ্গে বিবাহ দিয়েছিলেন। আলীবর্দীর বড় কন্যার নাম ছিল ঘসেটি বেগমের পরিচয় দাও।
ঘসেটি বেগম। যিনি সিরাজউদ্দৌলার বড় খালা। ঘসেটি বেগমের প্রাথমিক পরিচয়: আলীবর্দী খানের তিন কন্যার নাম ছিল ঘসেটি বেগম, ময়মুনা বেগম ও আমেনা বেগম। বড় কন্যা ঘসেটি বেগমের স্বামীর নাম ছিল নওয়াজিস মুহাম্মদ খান তার পিতা হাজী আহমেদ খান ছিলেন তার শ্বশুর। ঘসেটি বেগম ঢাকার শাসনকর্তা ছিলেন।
সিরাজের বিরুদ্ধে ঘসেটি বেগমের চক্রান্ত: সিরাজের বড় খালা ঘসেটি বেগম সিরাজের প্রতি বিরূপ ছিলেন। তিনি সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করে শওকত জঙ্গকে সিংহাসনে বসাবার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেন। আলীবর্দী খানের প্রধান সেনাপতি মীরজাফরও সিরাজের প্রতি বিদ্বেষভাবাপন্ন ছিলেন। সিরাজউদ্দৌলা প্রথমেই ঘসেটি বেগমের চক্রান্ত ধ্বংস করার আশু প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি সিংহাসনে আরোহণের এক মাসের মধ্যেই ঘসেটি বেগমের মতিঝিল প্রাসাদ আক্রমণ করে তাঁকে বন্দি করেন এবং তাঁর ধনরত্ন লুন্ঠন করেন। সিরাজের এ তৎপর হস্তক্ষেপের ফলে ঘসেটি বেগমের সকল চক্রান্ত ব্যর্থ হয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, কোন প্রকার রক্তপাত ছাড়াই সিরাজ কৌশলে ঘসেটি বেগমকে স্বীয় প্রাসাদে আনয়নপূর্বক নজরবন্দি করে রাখেন।