আলীবর্দী খানের বাংলা শাসন আলোচনা কর।

 

আলীবর্দী খানের বাংলা শাসন আলোচনা কর।

ভূমিকা: নিজ প্রতিভাগুণে যে কয়েকজন শাসক বাংলার ইতিহাসে স্মরণীয় এবং বিশেষ স্থান দখল করে আছেন, নবাব আলীবর্দী খান তাদের মধ্যে অন্যতম। অসাধারণ যোগ্যতা, অসীম সাহস আর বিচক্ষণতার বলে তিনি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার সর্বময় ক্ষমতার শাসক হয়ে মারাঠা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে দীর্ঘ যোগ বছর নিজ নবাবি অক্ষুণ্ণ রেখে বাংলাকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

 

বাংলা শাসন: বৃদ্ধ ব্যাসে আলীবর্দী খান বাংলার মসনদে বসলেও কর্মদক্ষতা ও নৈপুণ্য বলে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মুঘল সম্রাট মুহম্মদ শাহের নিকট হতে সমন লাভ করতে সক্ষম হন। সম্রাট এ সনদে তাকে বাংলা ও বিহারের সুবাদার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন এবং আলীবর্দী খান এ সনদ বলে তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের বিবিধ পদে দায়িত্ব দিয়ে উপাধি ও মনসব দান করেন। যেমন- জামাতা-ভ্রাতুস্পুত্র নওয়াজিশ মুহম্মদ খানকে বাংলার সুবা দেওয়ান ও জাহাঙ্গীরনগরের নাজিম নিয়োগ করেন। কনিষ্ঠ ভাতিজা জামাতা জৈনুদ্দিনকে বিহারের নায়েব পদে নিয়োগ করেন ইত্যাদি। এভাবে তিনি বাংলার বৈধ অধিকারী হয়ে এখানে এক সুশাসন কায়েম করেন।

 

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, আলীবর্দী অসামান্য কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন।