মারাঠাদের সাথে আলীবর্দী খানের সম্পর্কের ধাপগুলো কেমন ছিল?
ভূমিকা‘: নিজ প্রতিভাগুণে যে কয়েকজন শাসক ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন, আলীবর্দী খান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। অসাধারণ যোগ্যতা, অসীম সাহস আর বিচক্ষণতার বলে তিনি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার সর্বময় ক্ষমতার শাসক হয়ে মারাঠা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে দীর্ঘ ষোল বছর নিজ নবাবি অক্ষুণ্ণ রেখে বাংলাকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পংে এগিয়ে নিয়েছিলেন।
মারাঠাদের সাথে আলীবর্দীর সম্পর্কের ধাপসমূহ: নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. কাটোয়া অভিযান: আলীবর্দী খান ১৭৪২ সালে মারাঠাদের ঘাঁটি কাটোয়া আক্রমণ করেন। পরবর্তীতে এটি তাদের দখলীভূত হয়।
২. বালাজির সাথে মারাঠা দমন: পেশোয়ার মারাঠা রাজ বালাজি ও রমুজি ঘোষের মধ্যে বৈরীভাবের সুযোগে আলীবর্দী বালাজিকে সাথে নিয়ে রঘুজির বিরুদ্ধে অগ্রসর হন। এ কারণে রঘুজি ভোঁসলে কাটোয়া ত্যাগ করেন। ৩. মুর্শিদাবাদ অত্রিষণ: মারাঠারা মুর্শিদাবাদ আক্রমণ করার সময় আলীবর্দী খান বিহার আক্রমণে ব্যস্ত ছিলেন। এ সংবাদ নবাব শুনলে রাজধানীতে ফিরে আসেন। ফলে মারাঠারা পালিয়ে যায় কাটোয়ায়।
৪. মারাঠাদের সাথে চুক্তি: ১৭৫১ সালে আলীবর্দী খান ও মারাঠাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিগুলো হলো
ক. বাংলার রাজস্ব হতে ১২ লক্ষ টাকা রঘুজিকে দিতে হবে।
খ. মারাঠা সৈন্যরা কখনো সুবর্ণরেখা নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না ইত্যাদি।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব আলীবর্দী খান অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তার জোরে বৃদ্ধ বয়সেও শত্রুরা তাঁকে ভয় পেত।