নবাব আলীবর্দী খান কে ছিলেন?
উত্তরঃ
ভূমিকা: নবাব আলীবর্দী খানের রাজত্বকাল বাংলার ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তার সময়ে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজিত ছিল। বাংলার ইতিহাসে আলীবর্দী খানের শাসনকাল একটি স্মরণীয় যুগ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
আলীবর্দী খানের পরিচয় ও ক্ষমতা দখল আলীবর্দী খানের প্রকৃত নাম ছিল মীর্জা মুহাম্মদ আলী বা মীর্জা বন্দে। আলীবর্দীর পিতামহ ছিলেন একজন আরবীয় এবং আওরঙ্গজেবের সময় তিনি মুঘল মনসবদার ছিলেন। আলীবর্দী খানের পিতা মীর্জা মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবের দ্বিতীয় পুত্র আজম শাহের অধীনে চাকরি করতেন। আজম শাহের মৃত্যুর পর মীর্জা মুহাম্মদের দুই পুত্র মীর্জা আহমেদ এবং মীর্জা মুহাম্মদ আলী বাংলায় চলে আসেন এবং বাংলার নবাব সুজাউদ্দিনের দরবারে চাকরি গ্রহণ করেন। দুই ভাইয়ের কর্মদক্ষতায় সুজাউদ্দিন খুবই সন্তুষ্ট হন। এসময় বড় ভাই মীর্জা আহমেদের নাম হয় হাজী আহমেদ। সুজাউদ্দিন হাজী আহমেদকে তাঁর পরামর্শদাতা নিযুক্ত করেন। ছোট ভাই মীর্জা মুহাম্মদ আলীকে সুজাউদ্দিন উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে আলীবর্দী বিহারের ডেপুটি সুবাদারের পদ লাভ করেন। ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর সরফরাজ খান বাংলার নবাব হন। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে সরফরাজ খানকে পরাজিত ও নিহত করে আলীবর্দী খান বাংলার মসনদ অধিকার করেন।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, আলীবর্দী খান ছিলেন একজন সুযোগ্য, সুদক্ষ ও বিচক্ষণ শাসক। স্বীয় কর্মদক্ষতা ও বিচক্ষণতার দ্বারা তিনি বাংলাকে বর্গীদের হামলা থেকে রক্ষা করেন এবং ইংরেজদের সাথে সতর্কতামূলক মিত্রতা নীতি ও মুঘল সম্রাটের প্রতি আনুগত্য স্বীকারের মাধ্যমে স্বীয় স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখেন।