ইংরেজদের ফররুখ শিয়ারের ফরমান লাভ সম্পর্কে যা জান লিখ।

 

ফররুখ শিয়ারের ফরমান সম্পর্কে একটি টিকা লিখ।

 

উত্তরঃ

ভূমিকা: আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলী খান বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে বাদশাহের মৃত্যুর পর তিনি এক প্রকার স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে থাকেন। তাঁর শাসনামলে ইংরেজ বণিকদের পূর্বেকার ফরমান অনুযায়ী নিয়মিত বাণিজ্য শুল্ক প্রদানে বাধ্য করা হয়।

ফররুখ শিয়ারের ফরমান (১৭১৭ খ্রিস্টাব্দ): ইংরেজগণ সারমন ও হ্যামিলটনকে দিশিতে মুঘল সম্রাট ফররুখ শিয়ারের দরবারে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের জন্য প্রেরণ করেন। সম্রাটের দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা করে হ্যামিলটন তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। ইংরেজদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে ফররুখ শিয়ার ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ফরমান জারি করে প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের তা পালন করতে নির্দেশ দেন। এ ফরমান অনুযায়ী ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় বিনা শুল্কে বাৎসরিক মাত্র ৩,০০০ টাকা প্রদানে অবাধ বাণিজ্য করার অধিকার লাভ করে। স্বাধীনচেতা ও সুদক্ষ বাংলার সুবাদার মুর্শিদকুলী খান ফররুখ শিয়ারের এ অন্যায় ফরমান অবজ্ঞা করেন এবং তাদের নিকট হতে শুল্ক আদায় করতে থাকেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোম্পানির ম্যাগনাকার্টা হিসেবে পরিচিত ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দের ফরমান মোতাবেক ইংরেজগণ ব্যবসায় বাণিজ্য করে সমৃদ্ধি লাভ করে এবং কলকাতার গুরুত্ব এরূপ বৃদ্ধি পায় যে, মাত্র সতের বছরে (১৭১৭-৩৫) তার জনসংখ্যা এক লক্ষে পৌঁছায়।

 

উপসংহার: পরিশেষে কে কে দত্ত (K.K Datta) বলেন, “ওরামি যথার্থভাবেই এটিকে কোম্পানির ম্যাগনাকার্টা” বলে উল্লেখ করে।