লক্ষ্ণৌ চুক্তি
বঙ্গ ভঙ্গ রদ, কানপুরের মুসলিম জনতার উপর নৃশংসতা প্রভৃতি ঘটনায় মুসলমানগণ ব্রিটিশ সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট হয় এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার মনোভাব পোষণ করে। লীগ ও কংগ্রেস উভয় দলই শাসনসংস্কার দাবি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯১৬ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, এ. কে. ফললুল হক প্রমুখের প্রচেষ্টায় মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে ঐতিহাসিক লক্ষ্ণৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ জন ব্লুমফিল্ড এ চুক্তিকে মুসলিম লীগের বিরাট সাফল্য (Arrema kable deplomatic victory) হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ এর পূর্বে ১৯০৯ সালের মর্লি-মিন্টোর সংস্কার আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের যে অধিকার দেয়া হয়, তা এ লক্ষ্ণৌ চুক্তির মাধ্যমে কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এছাড়া মুসলমানদের পৃথক রাজনৈতিক সত্তা কংগ্রেস কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে এগুলো পরোক্ষভাবে পাকিস্তান আন্দোলনের ক্ষেত্র ত্বরান্বিত করে।