নেহেরু রিপোর্ট ও জিন্নাহর চৌদ্দ দফা

নেহেরু রিপোর্ট ও জিন্নাহর চৌদ্দ দফা

দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়নের জন্য পণ্ডিত মতিলাল নেহেরুকে সভাপতি করে একটি কমিশন গঠন করা হয়। উক্ত কমিশন ১৯২৮ সালে যে রিপোর্ট পেশ করে, তাতে মুসলমানদের জন্য পৃথক নির্বাচনের বিরোধিতা করা হয়। এমনকি এতে বঙ্গ ও পাঞ্জাবের মুসলমানদের সংরক্ষিত আসনের দাবিও উপেক্ষিত হয়। ফলে এ রিপোর্ট হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রচেষ্টার মূলে কুঠারাঘাত করে এবং এর পর পরই ১৯২৯ সালের জানুয়ারি মাসে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের দাবি সংরক্ষণ ও জাতি স্বার্থ রক্ষার্থে ঐতিহাসিক চৌদ্ধ দফা পেশ করেন। এর অন্যতম দফা ছিল কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলমানদের জন্য অন্যূন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন রাখা। মুসলমানদেরকে সরকারি এবং অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্যতানুযায়ী নিয়োগ করা ইত্যাদি। কিন্তু এ প্রস্তাবসমূহ হিন্দু নেতৃবৃন্দ কিছুতেই গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না। এরপর হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি ক্রমশ স্বতন্ত্রধারায় অগ্রসর হতে থাকে।