কবি সাহিত্যিকদের রচনা

কবি সাহিত্যিকদের রচনা

 

শুধু কবি-সাহিত্যিকগণই নন, উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা স্বীয় চিন্তা ও চেতনায় জাতি ও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে এক করে দেখতেন। ফলে জাতীয় উন্নতি, কল্যাণ ও মুক্তি বলতে নিজেদের ধর্মসম্প্রদায়ের অগ্রগতিকেই চিহ্নিত করতেন। ১৮৭২ সালে বঙ্কিমচন্দ্র ভারত কলঙ্ক-এ “ভারতবর্ষ পরাধীন কেন?” নামক প্রবন্ধে হিন্দুদেরকে স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে তুলে ধরেন। তার প্রচারিত জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ছিল অতি সংকীর্ণ, যাতে হিন্দু ব্যতিরেকে অন্য কোন জাতির বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্থান ছিল না। রঙ্গলাল, হেমচন্দ্র এবং নবীনচন্দ্র প্রমুখ কবি ও সাহিত্যিকদের রচনায় এবং স্বামী বিবেকানন্দ প্রচারিত হিন্দু সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যেও সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ বিকাশের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এ রচনাগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য ছিল মুসলিম-বিদ্বেষ এবং হিন্দুধর্ম ও ঐতিহ্যের গুণকীর্তন।