বংশগত বা বংশগতভাবে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য সন্তানসন্ততিতে অতিক্রম হয় অর্থাৎ সন্তানের কোষগুলি তাদের বৈশিষ্ট্য এবং বৈশিষ্ট্যগুলি ওরফে জিনগত তথ্যগুলি তাদের মা এবং বাবার কাছ থেকে পেয়ে থাকে।
সহজ ভাষায়, বংশগতি বলতে পিতামাতার কাছ থেকে তাদের সন্তানের মধ্যে জিনের মাধ্যমে বৈশিষ্ট্য অতিক্রম করাকেই বুঝায়।
বংশগতি মূলত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য এবং জিনগত বৈশিষ্ট্যগুলি এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের দিকে চলে যাচ্ছে। জিনগুলি কোনও ব্যক্তির চেহারা কেমন হবে তা নির্ধারণ করে, তার বুদ্ধি, চুলের রঙ ইত্যাদি। সুতরাং, সংক্ষেপে বলতে গেলে, আপনার রক্তরেখার মধ্য দিয়ে যে পারিবারিক বৈশিষ্ট্যগুলি চলে তা বংশগতি হিসাবে পরিচিত।
বংশগতি জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বংশগতি ভাগ্য, এক প্রকার পূর্বনির্ধারিত। আধুনিক চিকিৎসা অনুসন্ধান ফলাফল প্রমাণ করেছে যে কিছু রোগ বংশগতভাবে উপস্থিত।
শিশুরা পিতামাতার কাছ থেকে ডিওকাইরিবোনুক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) সমন্বিত জিনগুলির উত্তরাধিকারী হয় এবং পিতামাতার কিছু বৈশৈষ্ট্য সন্তানসন্তিতে থাকতে পারে, যেমন: নীল, বাদামী চোখ ইত্যাদি।
বংশগতির কিছু উদাহরণ:
বংশগতি চোখের রঙ, ত্বকের রঙ, ফ্রিকলস, ডান বা বাম হাত, রক্তের ধরণ এবং উচ্চতার মতো বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষের মধ্যে কিছু বংশগত রোগ যেমন: বর্ণভ্রষ্টতা, দূরদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি ইত্যাদি।
বংশগতি বিদ্যা কাকে বলে?
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতি সম্বন্ধে বিশদভাবে আলোচনা করা হয় তাকেই বংশগতি বিদ্যা বলে।