জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায়।

 

জারকঃ  যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে।
যেমন – জিংক এবং কপার সালফেটের বিক্রিয়ায় কপার সালফেট জারক হিসেবে কাজ করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় জারক ইলেক্ট্রন গ্রহন করে।

Zn +CuSO4 ——>  ZnSO4 +Cu

এই বিক্রিয়ায় কপার আয়ন দুটি ইলেক্ট্রন গ্রহন করে কপার ধাতুতে পরিনত হয়েছে। অর্থাৎ কপারের বিজারন ঘটেছে।
বিজারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন করে তারা জারক।কাজেই এই বিক্রিয়ায় কপার জারক।
জারক যেহেতু ইলেক্ট্রন গ্রহন করে সেহেতু জারকের ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায়।
অর্থাৎ সকল জারন- বিজারন বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কের জারন সংখ্যা বা ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায় সেই বিক্রিয়কটিই জারক। কিছু জারকের উদাহরন – সকল অধাতু, হ্যালোজেন, KMnO4, K2Cr2O7, HNO3, গাঢ় H2SO4, SO2, ইত্যাদি।

বিজারক ঃ  যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে বিজারিত করে এবং সেই সাথে নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে।
বিজারক পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে। জারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন করে তারা বিজারক।

  Zn ———> Zn 2+  +2e

কাজেই এই বিক্রিয়ায় জিংক বিজারক। বিজারক যেহেতু ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে সেহেতু বিজারকের ধনাত্বক আধান উৎপাদে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ সকল জারন- বিজারন বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কের জারন সংখ্যা বা ধনাত্বক আধান উৎপাদে বৃদ্ধি পায় সেই বিক্রিয়কটিই বিজারক।
কিছু বিজারকের উদাহরন-