কার্বোসাইক্লিক (Carbocyclic) যৌগ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যে সকল চক্রাকার যৌগের অণুর মূলকাঠামো কেবল কার্বন পরমাণু দ্বারা গঠিত, তাদেরকে কার্বোসাইক্লিক বা হোমোসাইক্লিক যৌগ বলে। যেমনঃ সাইক্লোবিউটেন, বেনজিন, টলুইন ইত্যাদি।

ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের উপর ভিত্তি করে কার্বোসাইক্লিক যৌগগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন–

(i) অ্যালিসাইক্লিক ও

(ii) অ্যারোমেটিক যৌগ।

i. অ্যালিসাইক্লিক যৌগঃ এই সকল যৌগ গাঠনিক দিক থেকে চক্রাকার, কিন্তু বেনজিন শৃঙ্খলবিহিন। এদের ধর্ম অ্যালিফেটিক যৌগের ন্যায়। যেমন, সাইক্লোপ্রোপেন, সাইক্লোহেক্সেন, সাইক্লোপেন্টেন ইত্যাদি।

ii. অ্যারোমেটিক যৌগ : বেনজিন, বেনজিনের সমগোত্রীয় শ্রেণি, একাধিক বেনজিন বলয় যুক্ত যৌগ কিংবা বেনজিনের ন্যায় ধর্ম প্রদর্শনকারী চক্রাকার যৌগকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে। এই জাতীয় যৌগে 6টি কার্বন পরমাণু পরপর একযোজী এবং দ্বিযোজী বন্ধনের সাহায্যে সুষম ষড়ভূজ শৃঙ্খল গঠন করে। একে বেনজিন বলয় বলে। কিন্তু অ্যারোমেটিক যৌগে বেনজিন বলয়ের উপস্থিতি অপরিহার্য নয়। সমজাতীয় বলয়াকৃতি যে সব যৌগে এক বা একাধিক দ্বি বন্ধন পর্যায়ক্রমে বর্তমান থাকে এবং বিজ্ঞানী হাকেলের তত্ত্ব (Huckel’s rule) অনুযায়ী (4n + 2) সংখ্যক পাই (π) ইলেকট্রন থাকে (যেখানে n = 0, 1, 2, 3….. …… ….. ইত্যাদি যে কোনো পূর্ণ সংখ্যা) সেইসব যৌগকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে। অ্যারোমেটিক যৌগগুলিকে দুভাগে ভাগ করা হয়।