প্রশ্ন-১. নেটওয়ার্কের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্যগুলো কি কি? (What is main purposes of network?)
উত্তর : নেটওয়ার্কের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য।
২. তথ্য সংরক্ষণ করা।
৩. ই-কমার্স ব্যবহার করা।
৪. সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করা।
প্রশ্ন-২. Metropolitan Area Network (MAN) কি?
উত্তর : মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network)-কে সংক্ষেপে ম্যান (MAN) বলা হয়। একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)। এ ধরনের নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এই নেটওয়ার্কের ডেটা ট্রান্সফার স্পিড গিগাবিট পার সেকেন্ড। এ ধরনের নেটওয়ার্কে ব্যবহিত ডিভাইসগুলো হলো রাউটার, সুইচ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩. বাস টপোলজির মাধ্যমে কীভাবে সুবিধা পাওয়া যায়?
উত্তর : বাস টপোলজির কোনো কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য কম্পিউটারের কাজ করতে কোনো অসুবিধা হয় না। নেটওয়ার্কের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করতে এই টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন, ফলে এতে খরচও কম হয়। নেটওয়ার্কের বাস সহজে বাড়ানো যায় এবং এতে আরো বেশি সংখ্যক কম্পিউটার সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রশ্ন-৪. ওয়াকিটকিতে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড– ব্যাখ্যা কারো।
উত্তর : ওয়াকিটকিতে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো হাফ ডুপ্লেক্স। হাফ ডুপ্লেক্স মোডে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো ডেটা প্রেরণ ও ডেটা গ্রহণ উভয়টি করতে সক্ষম। হাফ ডুপ্লেক্স মোডে উভয় দিক থেকে ডেটা প্রেরণের সুযোগ থাকে তবে তা একই সময়ে নয়। এর যেকোনো প্রান্ত একই সময়ে কেবল মাত্র ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে তবে গ্রহণ বা প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
প্রশ্ন-৫. কাউন্টার কাকে বলে? (What is called counter?)
উত্তর : যে সিকুয়েন্সিয়াল সার্কিটের সাহায্যে প্রদানকৃত ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারা যায় তাকে কাউন্টার বলে।
প্রশ্ন-৬. ইউনিভার্সেল লজিক গেইট বলতে কী বোঝায়? (What is means by Universal Gate?)
উত্তর : AND, OR এবং NOT এই তিনটি গেইটকে মৌলিক গেইট বলা হয়। আবার এ তিনটি গেইটের সমন্বয়ে যে কোনো লজিক বর্তনী তৈরি করা সম্ভব। তবে শুধু NAND Gate দিয়েও যে কোনো বর্তনী তৈরি করা সম্ভব। অর্থাৎ শুধু NAND Gate দিয়ে AND, OR এবং NOT Gate এর ফাংশন বাস্তবায়ন সম্ভব। তেমনি শুধু NOR Gate দিয়েও মৌলিক গেইট তিনটির ফাংশন বাস্তবায়ন সম্ভব। তাই NAND ও NOR Gate দুইটি Universal Gate বা সার্বজনীন গেইট নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-৭. ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থায় কয়টি অংশ থাকে এবং কী কী?
উত্তর : ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থায় ৩টি অংশ থাকে। যথা- ১। প্রেরক যন্ত্র, ২। প্রেরণ মাধ্যম ও ৩। প্রাপক যন্ত্র।
প্রশ্ন-৮. Input/Output statement কি?
উত্তর : কম্পিউটারের মাধ্যমে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রোগ্রাম তৈরি করতে হয়। কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য যে সব statement ব্যবহার করে ডেটা সরবরাহ করা হয় তাদেরকে Input statement বলে। আর কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো সমস্যা সমাধানের পর যে ফলাফল পাওয়া যায় তা মনিটরে প্রদর্শন করে দেখানো জন্য যে সব statement ব্যবহার করা হয়, তাদেরকে Output statement বলে।
প্রশ্ন-৯. অকটাল থেকে বাইনারি এনকোডার কাকে বলে?
উত্তর : কোনো এনকোডারে ৮টি ইনপুট সংকেত থেকে ৩টি আউটপুট সংকেত পাওয়া গেলে তবে অকটাল সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করা যায়। এ ধরনের এনকোডারকে অকটাল থেকে বাইনারি এনকোডার বলে।
প্রশ্ন-১০. HTML এ মোট কয় ধরনের হেডিং ট্যাগ রয়েছে এবং এগুলো কী কী?
উত্তর : HTML এ মোট ছয় ধরনের হেডিং ট্যাগ রয়েছে। এগুলো হলো- <h1> </h1>, <h2> </h2>, <h3> </h3>, <h4> </h4>, <h5> </h5>, <h6> </h6>।
প্রশ্ন-১১. ব্লুটুথ কত সালে উদ্ভাবন করেন?
উত্তর : টেলিকম ভেন্ডর কোম্পানি এরিকসন ১৯৯৪ সালে ব্লুটুথ উদ্ভাবন করেন।
প্রশ্ন-১২. জিপিআরএস কি? (What is GPRS?)
উত্তর : জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিসএর সংক্ষিপ্ত নাম জিপিআরএস। এটি তারবিহীন মোবাইল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত এক ধরনের ব্যাবস্থা। প্রতি সেকেন্ডে ১১৫ কিলোবিট হারে তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে। এটি অনেক বড় সীমার মধ্যে থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডউইথ সমর্থন করে। ক্ষুদ্র তথ্যগুচ্ছ সরবরাহের জন্য এই ব্যাবস্থা বিশেষ ভাবে কার্যকরী।
প্রশ্ন-১৩. ব্লুটুথ কি? (What is a Bluetooth?)
উত্তর : ব্লুটুথ হলো স্বল্প দূরত্বের (১০ মিটারের কাছাকাছি) ভেতর বিনা খরচে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি।
প্রশ্ন-১৪. টপোলজি কাকে বলে? (What is called Topology?)
উত্তর : একটি নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো কিভাবে সংযুক্ত আছে তার ক্যাটালগকেই টপোলজি বলে। নেটওয়ার্ক ডিজাইনের ক্ষেত্রে টপোলজি বিশেষ ভূমিকা রাখে। টপোলজি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন- বাস টপোলজি, স্টার টপোলজি, রিং টপোলজি, মেশ টপোলজি ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৫. মৌলিক গেইট কাকে বলে? (What is called fundamental gate?)
উত্তর : যে সকল লজিক গেইটের মাধ্যমে বুলিয়ান অ্যালজেবরার মৌলিক অপারেশনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয় তাদেরকে মৌলিক গেইট বলে।
প্রশ্ন-১৬. ডেটাবেজ রিলেশনশিপ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : ডেটাবেজ রিলেশনশিপ তিন প্রকার। যথা–
১. One to One রিলেশন,
২. One to Many বা Many to One রিলেশন,
৩. Many to Many রিলেশন।
প্রশ্ন-১৭. SQL এর পূর্ণনাম কি এবং এটি কোন ধরনের ল্যাংগুয়েজ?
উত্তর : SQL এর পূর্ণনাম হলো Structured Query Language। এটি একটি শক্তিশালী ডেটা ম্যানিপুলেশন ল্যাংগুয়েজ।
প্রশ্ন-১৮. রিং টপোলজির অসুবিধা কী?
উত্তর : রিং টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত না থাকায় একটি কম্পিউটার অন্য আরেকটি কম্পিউটারকে সরাসরি ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। নেটওয়ার্কে যুক্ত যেকোনো কম্পিউটার ডেটা প্রেরণের ক্ষমতা হারালে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন বা নেটওয়ার্কে নতুন কোনো কম্পিউটার যুক্ত করতে হলে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক নতুন করে সাজাতে হয়। এ ধরনের নেটওয়ার্কের কোনো সমস্যা হলে তা শনাক্ত করা বেশ জটিল হয়।
প্রশ্ন-১৯. বাস টপোলজির সুবিধা কী?
উত্তর : বাস টপোলজিতে একটি প্রধান সংযোগ লাইনে প্রতিটি কম্পিউটার স্বতন্ত্রভাবে সংযুক্ত থাকে। সরল সংগঠন হওয়ায় এই টপোলজির বাস্তবায়ন সহজ হয়। যেকোনো সময় নেটওয়ার্ক থেকে যেকোনো কম্পিউটার বিচ্ছিন্ন বা নেটওয়ার্কে নতুন কম্পিউটার যুক্ত করা যায়। এমনকি নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার নষ্ট হলেও নেটওয়ার্কের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। এছাড়া নেটওয়ার্কে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করতে এই টপোলজিতে সবচেয়ে কম ক্যাবল প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-২০. এইচটিএমএল কী? (What is HTML?)
উত্তর : Hyper Text Markup Language এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো HTML। World Wide Web (WWW) ফাইল তৈরি করতে HTML ব্যবহার করা হয়। এই ফাইলসমূহ সাধারণত ওয়েব পেইজ (Web page) নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-২১. পাইথন ভাষা কে আবিষ্কার করেন এবং কত সালে?
উত্তর : ১৯৯১ সালে নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী ভ্যান রোসাম পাইথন ভাষাটি আবিষ্কার করেন। এ ভাষার নামকরণ করা হয়েছে ব্রিটিশ কমেডি শো ‘মন্টি পাইথন’ এর নামে।
প্রশ্ন-২২. সংখ্যা পদ্ধতি কী? (What is number system?)
উত্তর : কোনো সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন-২৩. মেশিন ভাষায় ব্যবহৃত নির্দেশকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়?
উত্তর : মেশিন ভাষায় ব্যবহৃত নির্দেশকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ১। গাণিতিক, ২। ইনপুট/আউটপুট, ৩। নিয়ন্ত্রণ, ৪। প্রত্যক্ষ ব্যবহার।
প্রশ্ন-২৪. ডেটাবেস অ্যাডমিনেস্ট্রেটর (Database Administrator- DBA) বলতে কী বুঝ?
উত্তর : Database Administrator হলেন এক বা একাধিক ব্যক্তি যারা ডেটাবেস তৈরি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। Database Administrator-এর প্রশাসনিক ও কারিগরি দক্ষতার ওপর ডেটাবেস ব্যবস্থাপনার সার্বিক সাফল্য নির্ভর করে।
প্রশ্ন-২৫. অ্যাপেন্ড কাকে বলে? (What is called Append?)
উত্তর : ডেটাবেজে নতুন রেকর্ড যোগ করাকে অ্যাপেন্ড বলে। আবার ডেটাবেজ থেকে ডেটা এনে অন্যত্র যোগ করাকেও অ্যাপেন্ড বলে।
প্রশ্ন-২৬. লিনিয়ার ডেটা স্ট্রাকচার কি? (What is Linear Data Structure?)
উত্তর : যে সকল ডেটা স্ট্রাকচার-এর একটি নির্দিষ্ট রৈখিক বিন্যাস থাকে তাদেরকে লিনিয়ার বা রৈখিক ডেটা স্ট্রাকচার বলা হয়। যেমন— অ্যারে (Array), স্ট্যাক (Stack ), কিউ (Queue), লিংকড্ লিস্ট (Linked list) ইত্যাদি স্টাকচার।
উত্তর : রেজিস্টার হলো কতকগুলো ফ্লিপফ্লপ এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা বাইনারি তথ্যকে সংরক্ষণ করে থাকে। রেজিস্টার এক প্রকার মেমোরি ডিভাইস। সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর ডেটা প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে রেজিস্টারে ডেটা সংরক্ষণ করে।প্রশ্ন-২৯. প্লেজারিজম কী?
উত্তর : প্লেজারিজম হলো অন্যের লেখা গবেষণালব্ধ তথ্য নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া।
প্রশ্ন-৩০. রেজিস্টার কি?
উত্তর : রেজিস্টার হলো মাইক্রো প্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত উচ্চ গতিসম্পন্ন মেমোরি।
প্রশ্ন-৩১. মাইক্রোওয়েভ কি?
উত্তর : মাইক্রোওয়েভ হলো হাই-ফ্রিক্যুয়েন্সি রেডিও ওয়েভ।
উত্তর : যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমুলক অপারেশন সমূহের সহযােগে গঠিত গণিতকে বুলিয় বীজগণিত বা বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলে। অর্থাৎ, বুলিয়ান অ্যালজেবরা হল ডিজিটাল যুক্তি বর্তনী, প্রযুক্তি, প্রােগ্রামিং সেট থিওরি ও পরিসংখ্যানগত সমস্যার সমাধান করা যা মূলত লজিক সার্কিটের মাধ্যমে সত্য ও মিথ্যাকে যথাক্রমে 0 ও 1 দিয়ে পরিবর্তন করার মাধ্যমে কম্পিউটারে গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়।