স্থানান্তর কাকে বলে? স্থানান্তরের কারণ ও প্রভাব কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকের আলোচনার বিষয় স্থানান্তর তারতম্যের কারণ ও প্রভাব সম্পর্কে। এটি ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ৪র্থ অধ্যায়ের পাঠ – ৮ থেকে নেওয়া হয়েছে।

স্থানান্তর কাকে বলে?

বসবাসের স্থান স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করাকে স্থানান্তর বলে। এটি কখনো নির্দিষ্ট দেশের সীমানার মধ্যে হতে পারে আবার কখনো সীমানা অতিক্রম করে হতে পারে।

স্থানান্তর তারতম্যের কারণ

স্থানান্তরের পিছনে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, জনমিতিক কারণ বিদ্যমান থাকে। এসব কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মানুষ–

  • অধিক আয়ের আশায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত হয়।
  • ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে স্থানান্তরিত হয়।
  • বিবাহের কারণে এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
  • উচ্চশিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পেশার আশায় স্থানান্তরিত হয়।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন – বন্যা, খরা, জলাবদ্ধতা, নদীভাঙন প্রভৃতি কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে স্থানান্তরিত হয়।
  • বিভিন্ন আকর্ষণীয় উপাদান যেমন- উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, বিনোদন ও পরিবেশ এর আশায় স্থানান্তরিত হয়।
  • যুদ্ধবিগ্রহের কারণে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বহু লোক ইউরোপীয় দেশসমূহে স্থানান্তরিত হচ্ছে।

 

 

স্থানান্তরের প্রভাব

সমাজজীবনে স্থানান্তরের প্রভাব অনেক। স্থানান্তরের কারণে মানুষ যে এলাকায় গমন করে সে এলাকা বিস্তৃতি লাভ করে। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যায়। যেমন, ঢাকা শহর দশ বছর আগেও সীমিত এলাকা নিয়ে ছিল। কিন্তু এখন এ শহরের বিস্তৃতি ব্যাপক।

স্থানান্তরের কারণে অতিরিক্ত লোকের চাপ পড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে। ফলে মৌলিক প্রয়োজনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা ও এর মূল্য বৃদ্ধি পায়। স্থানান্তরের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন- শিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি সমস্যা, কর্মসংস্থানের অভাব, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি।