প্রশ্ন-১. গতিবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানের যে শাখায় গতির কারণ, গতির পরিবর্তন ও গতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে গতিবিদ্যা বলে।
প্রশ্ন-২. চলনগতি কাকে বলে?
উত্তর : গতিশীল অবস্থায় বস্তুর কণাসমূহ যদি সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে সে গতিকে চলনগতি বলে।
প্রশ্ন-৪. অসম বৃত্তীয় গতি কাকে বলে?
উত্তর : অসম কৌণিক বেগ বিশিষ্ট গতিকে অসম বৃত্তীয় গতি বলে।
প্রশ্ন-৫. অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ (Gravitational acceleration) বলে।
প্রশ্ন-৬. স্পন্দন গতি কী?
উত্তর : যদি কোন পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন কণা তার পর্যায় কালের অর্ধেক সময় একদিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় তার বিপরীত দিকে চলে তবে ঐ কণার গতিকে স্পন্দন গতি বলে।
প্রশ্ন-৭. স্পন্দন গতি উদাহরণ লেখ।
উত্তর : সরল দোলকের গতি, সুরশালাকার গতি।
প্রশ্ন-৮. অসম ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার যদি সমান না থাকে তাহলে সেই ত্বরণকে অসম ত্বরণ বলে।
প্রশ্ন-৯. মহাকর্ষ কী?
উত্তর : মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। মহাবিশ্বের দুটি বস্তুর মাঝে এই আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে।
প্রশ্ন-১০. সরণ কি?
উত্তর : সরণ হলো বস্তুটির অবস্থানের প্রথম স্থান থেকে বস্তুটির অবস্থানের শেষ স্থান পর্যন্ত সরলরৈখিক দূরত্ব।
প্রশ্ন-১১. অভিকর্ষ কী?
উত্তর : পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বলে।
প্রশ্ন-১২. সুষম ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : কোনাে বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে সে ত্বরণকে সুষম ত্বরণ বলে।
প্রশ্ন-১৩. সুষম বেগ কাকে বলে?
উত্তর : যদি গতিশীল কোন বস্তুর বেগের দিক এবং মান অপরিবর্তিত থাকে তবে তাঁর বেগকে সুষম বেগ বলে। যেমন শব্দের বেগ, আলোর বেগ।
প্রশ্ন-১৪. মন্দন কী?
উত্তর : ঋণাত্মক ত্বরণকে মন্দন বলে, অর্থাৎ অসম বেগের হ্রাসের হারই মন্দন।
প্রশ্ন-১৫. অসম বেগ কী?
উত্তর : যদি গতিশীল কোন বস্তুর বেগের দিক এবং মান পরিবর্তিত হয় তবে তার বেগকে অসম বেগ বলে।
প্রশ্ন-১৬. দিকের উপর ভিত্তি করে রাশি কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : রাশি দুই প্রকার। যথা– (১) স্কেলার রাশি ও (২) ভেক্টর রাশি।
প্রশ্ন-১৭. গাড়ির দ্রুতি কী দ্বারা মাপা হয়?
উত্তর : স্পিডোমিটার দ্বারা গাড়ির দ্রুতি মাপা হয়।
প্রশ্ন-১৮. পড়ন্ত বস্তুর দ্বিতীয় সূত্রটি লিখ।
উত্তর : স্থির অবস্থান হতে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত বেগ ঐ সময়ের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-১৯. রাশি কী?
উত্তর : ভৌত জগতে যা কিছু পরিমাপ করা যায় তাকে রাশি বলে।
প্রশ্ন-২০. স্থির অবস্থান থেকে সুষম ত্বরণে চলমান বস্তুর ক্ষেত্রে বেগ বনাম সময় লেখ এর প্রকৃতি কীরূপ হয়?
উত্তর : স্থির অবস্থান থেকে সুষম ত্বরণে চলমান বস্তুর ক্ষেত্রে বেগ বনাম সময় লেখ একটি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা হবে।
প্রশ্ন-২১. ত্বরণ এর সংজ্ঞা লিখ।
উত্তর : সময়ের সাথে বস্তুর অসম বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। একে a দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-২২. সুষম বেগের ক্ষেত্রে দূরত্ব বনাম সময় লেখ-এর প্রকৃতি কিরূপ হবে?
উত্তর : সুষম বেগের ক্ষেত্রে দূরত্ব বনাম সময় লেখ মূলবিন্দুগামী একটি সরলরেখা হবে।
প্রশ্ন-২৩. দ্রুতি এবং বেগের মাত্রা ও একক উল্লেখ কর।
উত্তর : বেগের মাত্রা এবং দ্রুতির মাত্রা একই : [LT-1]
বেগের একক এবং দ্রুতির একক একই : ms-1।
প্রশ্ন-২৪. সুষম বৃত্তাকার গতি কাকে বলে?
উত্তর : বৃত্তাকার পথে সমদ্রুতিতে ঘূর্ণায়মান কোন বস্তু কণার গতিকে সুষম বৃত্তাকার গতি বলে।
প্রশ্ন-২৫. রৈখিক গতি কী?
উত্তর : কোন বস্তু যদি সরল রেখা বরাবর গতিশীল হয় তবে তার গতিকে রৈখিক গতি বলে।
প্রশ্ন-২৭. পরম গতি কি?
উত্তর : পরম স্থির বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতি হলো পরম গতি। মহাবিশ্বে পরম গতি বলে কিছু নেই।
প্রশ্ন-২৮. প্রাস কাকে বলে?
উত্তর : অভিকর্ষের প্রভাবে শূন্য স্থানে ভূমির সাথে তীর্যকভাবে উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুকে প্রক্ষিপ্ত বস্তু বা প্রাস বলে।
প্রশ্ন-২৯. একমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?
উত্তর : যে বস্তুর বিভিন্ন কণার অবস্থান একটি মাত্র স্থানাঙ্ক দ্বারা নির্দেশ করা হয় তাকে একমাত্রিক প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।
প্রশ্ন-৩০. দ্বিমাত্রিক বস্তু কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি বস্তুর বিভিন্ন কণার অবস্থান দুটি স্থানাঙ্ক থাকলে দ্বিমাত্রিক বস্তু বলে।
প্রশ্ন-৩১. ত্রিমাত্রিক বস্তু কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি বস্তুর বিভিন্ন কণা এই কাঠামোর অবস্থান করলে বস্তুটিকে ত্রিমাত্রিক বস্তু বলে।
প্রশ্ন-৩২. নিক্ষেপণ বেগ কাকে বলে?
উত্তর : যে আদিবেগে কোনো প্রাসকে শূন্যে নিক্ষেপ করা হয় তাকে নিক্ষেপণ বেগ বলে।
প্রশ্ন-৩৩. নিক্ষেপণ কোণ কাকে বলে?
উত্তর : যাত্রা শুরুর মুহুর্তে নিক্ষেপণ বেগের অভিমুখ অনুভূমিকের সাথে যে কোণ সৃষ্টি করে তাকে নিক্ষেপণ কোণ বলে।
প্রশ্ন-৩৪. নিক্ষেপণ বিন্দু কাকে বলে?
উত্তর : যে বিন্দু হতে কোনো প্রাস নিক্ষিপ্ত হয় তাকে নিক্ষেপণ বিন্দু বলে।
প্রশ্ন-৩৫. দূরত্ব কি?
উত্তর : দূরত্ব হলো নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অতিক্রম করা মোট দৈর্ঘ্য।
প্রশ্ন-৩৬. কোন গাড়ির দ্রুতি 50 kmh-1 বলতে কি বুঝ?
উত্তর : কোন গাড়ির দ্রুতি 50 kmh-1 বলতে বুঝায় যে, গাড়িটি যে কোন দিকে প্রতি ঘন্টায় 50 km দূরত্ব অতিক্রম করে।
সুষম বৃত্তাকার গতির বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ সুষম বৃত্তাকার গতির বৈশিষ্ট্য হলো :
১. এতে সমদ্ৰুতি বিদ্যমান।
২. এতে সমকৌণিক বেগ বিদ্যমান।
৩. এর কৌণিক ত্বরণ শূন্য।
৪. কেন্দ্রমুখী ত্বরণ থাকে।