সাধারণত নির্দিষ্ট এবং স্থির আয়ের লোকজন সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাংকে যে হিসাব খোলে তাকে সঞ্চয়ী হিসাব বলে। ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাবের উপর স্বল্পহারে সুদ প্রদান করে। ব্যাংক চলাকালীন সময়ে যতবার খুশি এই হিসাবে টাকা জমা দেওয়া যায়। কিন্তু সপ্তাহে দুইবারের বেশি টাকা তােলা যায় না। তবে অনেকক্ষেত্রেই আজকাল ব্যাংক নিয়মটির ব্যতিক্রম করে। সঞ্চয়ী হিসাব বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যথাঃ–
১. গৃহ সঞ্চয়ী হিসাব
২. স্কুল সঞ্চয়ী হিসাব
সঞ্চয়ী হিসাবের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ
সুবিধাসমূহঃ
- অল্প টাকা জমা দিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খোলা যায়।
- এই হিসাবে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমার উপরে সুদ দেওয়া হয়। এর বেশি জমা করলে তার উপরে কোন সুদ দেওয়া হয় না।
- ব্যাংক খোলা থাকা অবস্থায় যতবার খুশি টাকা জমা দেওয়া যায়।
- চেক কেটে টাকা উত্তোলন করা যায়।
- উদ্ধৃত টাকার উপরে সুদ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য সর্বোচ্চ জমার অতিরিক্ত টাকার উপরে সুদ দেওয়া হয় না।
অসুবিধাসমূহঃ
- একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা না দিয়ে হিসাব খোলা যায় না।
- এই হিসাবে সবসময় একটি নির্দিষ্ট ন্যুনতম পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয়।
- হিসাব খুলতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- ব্যাংকের অতীত কোন হিসাবধারী সনাক্তকরণ সংগ্রহ করতে হয়, বিভিন্ন ধরনের দলিলপত্র জমা দিতে হয় ইত্যাদি।
- সপ্তাহে দুই বারের বেশি টাকা তোলা যায় না।
- এই হিসাবের মাধ্যমে কোন প্রকার ঋণের সুবিধা দেওয়া হয় না।
- একবারে বেশি পরিমাণে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংককে ৭ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়।
- একজন ব্যক্তি কোন একটি শাখায় কেবলমাত্র একটাই সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে পারে।
- এই হিসাবে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট হারে আবগারী শুল্ক (excise duty) কেটে রাখা হয়।
- এই হিসাবে প্রাপ্ত মুনাফা থেকে বাংলাদেশে ১০% হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়।