রেজিস্ট্যান্স কি? রেজিস্ট্যান্স কত প্রকার ও কি কি? (Resistance in Bengali)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রেজিস্ট্যান্স কি? (What is Resistance in Bengali/Bangla?)

রেজিস্ট্যান্স হচ্ছে পরিবাহীর একটি বিশেষ ধর্ম। পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ বাঁধা প্রাপ্ত হয়, তাকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বলে। একে “R” দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক ওহম (Ω)।

 

রেজিস্ট্যান্স প্রধানত দুই প্রকার। যথা :

ক. নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স;

খ. পরিবর্তনীয় মানের রেজিস্ট্যান্স।

ক. নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স : যে রেজিস্ট্যান্সের মান প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করা যায় না, তাকে নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স বলে। এর মান 0.5W হতে 8W পর্যন্ত হয়।

খ. পরিবর্তনীয় মানের রেজিস্ট্যান্স : যে রেজিস্ট্যান্সের মান প্রয়োজন মতো পরিবর্তন করা যায়, তাকে পরিবর্তনীয় মানের রেজিস্ট্যান্স বলে। এর মান 1000Ω হতে 5μΩ এবং পাওয়ার 0.5W হতে 2W পর্যন্ত হয়।

নির্দিষ্ট মানের রেজিস্ট্যান্স আবার চার প্রকার। যথা-

(ক) কার্বন রেজিস্ট্যান্সঃ এটি রেজিস্টরে রেজিস্ট্যান্স ইলিমেন্ট হিসেবে কার্বন অ্যালয় ব্যবহৃত হয়। এ রেজিস্ট্যান্সের উপর অ-পরিবাহী পদার্থের আবরণ থাকে। এর মান 0.1Ω হতে 20μΩ পর্যন্ত হয় এবং পাওয়ার 0.1W হতে 2W পর্যন্ত হয়।

(খ) মেটাল রেজিস্ট্যান্সঃ একটি সিরামিক সাবট্রেটের উপর পাতলা পদার্থের মতো ধাতব অক্সাইডের বিভিন্ন রেজিস্টিভ পদার্থের সংক্ষিপ্ত আবরণ প্যাচের মতো করে এ ধরনের রেজিস্ট্যান্স তৈরি করা হয়। এর পাওয়ার 0.05W হতে 2W পর্যন্ত হয়।

(গ) ওয়্যার উন্ড রেজিস্ট্যান্সঃ এটিতে বেকেলাইট বা সিরামিকের উপর নাইক্রোম বা ম্যাঙ্গানিজের তৈরি তার প্যাচানো হয়। জড়ানো তারের উপর চিনামাটির আবরণ দিয়ে এ ধরনের রেজিস্ট্যান্স তৈরি করা হয়। এর মান 1Ω হতে 1000Ω পর্যন্ত হয় এবং পাওয়ার 5W হতে 100W পর্যন্ত হয়।

(ঘ) ডিপজিট্রেড রেজিস্টরঃ একটি কাচ বা সিরামিক নলের উপর রেজিস্ট্যান্সসম্পন্ন গুণবিশিষ্ট উপাদান যথা : পাতলা ফিল্ম কার্বন দানা বা কার্বন ব্রোরনের মিশ্রণে পাতলা পর্দার আকারে কয়েক স্তর প্যাঁচ দিয়ে এ ধরনের রেজিস্টর তৈরি করা হয়। এগুলো বিভিন্ন ওয়াটের হতে পারে। যথা 0.5W হতে 8W পর্যন্ত হতে পারে।

 

রেজিস্ট্যান্সের সূত্র

রেজিস্ট্যান্সের সূত্রগুলো নিম্নে দেয়া হলো–

  • ১ম সূত্রঃ তাপমাত্রা, উপাদান ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স দৈর্ঘ্যের সাথে সমানুপাতিক।
  • ২য় সূত্রঃ তাপমাত্রা, উপাদান ও দৈর্ঘ্য স্থির থাকলে পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের সাথে উল্টানুপাতিক৷