প্রশ্ন-১. কোনটি আবিষ্কারের ফলে ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে?
উত্তর : ইন্টারনেট।
প্রশ্ন-২. ছোট শহর বা গ্রামে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে কোন সেবা ভূমিকা রাখছে?
উত্তর : টেলিমেডিসিন।
প্রশ্ন-৩. অতীতে বিদেশে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল কোনটি?
উত্তর : চিঠি।
প্রশ্ন-৪. বর্তমানে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় কোনটি?
উত্তর : ই-মেইল এড্রেস।
প্রশ্ন-৫. কোন যন্ত্র রোগীর শরীরের ত্রিমাত্রিক ছবি বের করতে পারে?
উত্তর : পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি।
প্রশ্ন-৬. বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি কোন মাধ্যমে পাওয়া যায়?
উত্তর : Internet.
প্রশ্ন-৭. www.elance.com ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে কী করা হয়?
উত্তর : আত্মকর্মসংস্থানের কাজ।
প্রশ্ন-৮. কোনটি Virtual laboratory কাজের ওয়েবসাইট?
উত্তর : www.softpedia.com
প্রশ্ন-৯. কোন চাষীরা ই-পুর্জি পেয়ে থাকেন?
উত্তর : ইক্ষু চাষীরা।
প্রশ্ন-১০. টেলিমেডিসিন কি?
উত্তর : টেলিফোনের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা নেয়া।
প্রশ্ন-১১. অনলাইনে টিকেট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?
উত্তর : ইন্টারনেট।
প্রশ্ন-১২. তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন কর্মীর কী বৃদ্ধি পায়?
উত্তর : দক্ষতা।
প্রশ্ন-১৩. ‘জিনোম’ আবিষ্কারের ফলে কোন বিপ্লবটি শুরু হতে পারে?
উত্তর : রোগের কারণ চিহ্নিত করে তা অপসারণ।
প্রশ্ন-১৪. পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের যোগাযোগ বেশি হয় কোনটির মাধ্যমে?
উত্তর : ই-মেইল।
প্রশ্ন-১৫. স্বয়ংক্রিয় ইন্টারেক্টিভ ভয়েস প্রযুক্তি গ্রাহকদেরকে কী সুবিধা প্রদান করে?
উত্তর : যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়।
প্রশ্ন-১৬. SMS এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : Short Message Service
প্রশ্ন-১৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?
উত্তর : রেডিও।
প্রশ্ন-১৮. ফ্যাক্স কি?
উত্তর : লিখিত তথ্য ও ছবি তৎক্ষনাৎভাবে পাঠানোর মাধ্যমে।
প্রশ্ন-১৯. ইন্টারনেটের অধিবাসীদের কী বলা হয়?
উত্তর : নেটিজেন।
প্রশ্ন-২০. ইনফরমেশন শেয়ারিং কি?
উত্তর : তথ্য বিনিময়।
প্রশ্ন-২১. এটিএম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র কোনটি?
উত্তর : ব্যাংকিং।
প্রশ্ন-২২. ই-পর্চা কী ধরনের সেবা?
উত্তর : সরকারি সেবা।
প্রশ্ন-২৩. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি কোনটি?
উত্তর : টেলিফোন।
প্রশ্ন-২৪. কম্পিউটার কী?
উত্তর : কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র।
প্রশ্ন-২৫. মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি ২ প্রকার। যথা– ১. একমুখী বা ব্রডকাস্ট পদ্ধতি; ২. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি।
প্রশ্ন-২৬. ব্যাংকের ATM মেশিনের মাধ্যমে নগদ অর্থ তোলা যায় কখন?
উত্তর : যেকোনো সময়।
প্রশ্ন-২৭. আউটসোর্সিং এর জন্য অত্যাবশ্যক কোনটি?
উত্তর : ইন্টারনেট।
প্রশ্ন-২৮. বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি কোনটি?
উত্তর : মোবাইল কোম্পানি।
প্রশ্ন-২৯. যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে মোটামুটি কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ২।
প্রশ্ন-৩০. কোনটি বাংলাদেশের সরকারি জাতীয় ওয়েব পোর্টাল?
উত্তর : www.bangladesh.gov.bd
প্রশ্ন-৩১. ‘সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা’ – উক্তিটি কার?
উত্তর : ড. ইকবাল কাদির।
প্রশ্ন-৩২. EPOS এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : Electronic Point of Sale.
প্রশ্ন-৩২. মাইক্রো কন্ট্রোলার কোনটি?
উত্তর : PLA।
প্রশ্ন-৩৩. অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ‘বর্তমানে’ কত সময় লাগে?
উত্তর : ৪ দিন।
প্রশ্ন-৩৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?
উত্তর : রেডিও।
প্রশ্ন-৩৫. দ্বিমুখী যোগাযোগ কি?
উত্তর : দ্বিমুখী যোগাযোগ হলো একই সাথে একে অপরের সাথে যোগাযোগ। যেমন– মোবাইল, টেলিফোন।
প্রশ্ন-৩৬. ই-পুর্জি (E-purjee) কি?
উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নাগরিক সেবা সমূহের অন্যতম একটি সেবা হচ্ছে ই-পূর্জি।
প্রশ্ন-৩৭. সামাজিক নেটওয়ার্ক কি?
উত্তর : সামাজিক নেটওয়ার্ক হলো একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দ্বিমুখী ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তথ্য দেওয়া-নেওয়া করতে পারে এবং এক জায়গায় হতে পারে।
প্রশ্ন-৩৮. তথ্যপ্রযুক্তি কী? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তর : তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারপরও এ প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।
প্রতিদিন মানুষের জীবনে নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। যার ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।
প্রশ্ন-৩৯. ‘সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা’—বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো আধুনিকীকরণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। এর ফলে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, কিছু কাজের ধারার পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন কারখানায় বিপজ্জনক অনেক কাজ রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। এসব যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁতভাবে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উত্পাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উত্পাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে আমেরিকার এমআইটির অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন, সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা অর্থাত্ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উত্পাদনশীলতা বাড়ে। ফলে নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ তৈরি হয়। ফলাফল হলো নতুন কাজের সুযোগ।