প্রশ্ন-১। কোন মৌল রঙিন যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ Fe (ফ্লোরিন)।
প্রশ্ন-২। Fe3+ আয়নের M শেলে কতটি ইলেকট্রন রয়েছে?
উত্তরঃ 13।
প্রশ্ন-৩। ল্যাভয়সিয়ে কতটি মৌল নিয়ে ছক তৈরি করেছিলেন?
উত্তরঃ ৩৩টি।
প্রশ্ন-৪। পর্যায় সারণিতে মুদ্রা ধাতুর অবস্থান কোন গ্রুপে?
উত্তরঃ ১১।
প্রশ্ন-৫। পর্যায় সারণির ৫ম পর্যায়ে মৌলের ব্যাসার্ধ কত বেশী?
উত্তরঃ ১৮।
প্রশ্ন-৬। কত সালে ত্রয়ী সূত্র আবিস্কার হয়?
উত্তরঃ ১৮২৯ সালে।
প্রশ্ন-৭। La (57) কোন গ্রুপের মৌল?
উত্তরঃ ৩ গ্রুপের মৌল।
প্রশ্ন-৮। মোসলে কত সালে পর্যায় সূত্র আবিস্কার করেন?
উত্তরঃ ১৯১৩ সালে।
প্রশ্ন-৯। ত্রয়ী সূত্রটি লেখ।
উত্তরঃ রাসায়নিকভাবে সদৃশ প্রতি তিনটি মৌল শ্রেণির মাঝের মৌলটির পারমাণবিক ভর মোটামুটিভাবে অপর মৌল দুটির পারমাণবিক ভরের গড় হয়- এই মৌল তিনটিকে ডোবারিনারের ত্রয়ী সূত্র।
প্রশ্ন-১০। ধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উপাদান সাধারণত তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়, পিটিয়ে পাত করা যায়, ঘষলে চকচক করে সেসব উপাদানকে ধাতু বলে। যেমন- আয়রন, কপার, সোডিয়াম ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১১। অধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উপাদান সাধারণত তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী, আঘাত করলে তেমন শব্দ হয় না, পিটিয়ে পাত করা যায় না সেসব উপাদানকে অধাতু বলে। যেমন- অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১২। ক্ষার ধাতু কী?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-১ এ অবস্থিত মৌলসমূহকে ক্ষার ধাতু বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩। পর্যায় সারণির অষ্টক তত্ত্বটি লেখো।
উত্তরঃ মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুযায়ী সাজালে প্রতি অষ্টম মৌলসমূহের ধর্মের মিল দেখা যায়—এটাই অষ্টক তত্ত্ব।
প্রশ্ন-১৪। আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
প্রশ্ন-১৫। মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব ধাতু মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তাদের মুদ্রা ধাতু বলে।
প্রশ্ন-১৬। নিষ্ক্রিয় গ্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-১৮-তে অবস্থিত মৌলসমূহকে নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলে।
প্রশ্ন-১৭। হ্যালোজেন কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-১৭-তে অবস্থিত মৌলসমূহকে হ্যালোজেন বলে।
প্রশ্ন-১৮। পর্যায়বৃত্ত ধর্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ মৌলসমূহের যে কতিপয় ধর্ম পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, তাদের পর্যায়বৃত্তিক ধর্ম বলে।
প্রশ্ন-১৯। পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কি?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি হলো ইলেকট্রন বিন্যাস।
প্রশ্ন-২০। নিকৃষ্ট ধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ লোহা, দস্তা প্রভৃতি অধিক সক্রিয় ধাতুকে নিকৃষ্ট ধাতু বলে।
প্রশ্ন-২১। তড়িৎ ঋণাত্মকতা কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ কোনো অণুর শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগল কোনো পরমাণু কর্তৃক নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে। যেমন- HF অণুতে H-F বন্ধনের ইলেকট্রন জোড়কে ফ্লোরিন পরমাণু তার নিজের দিকে টানে। সুতরাং ফ্লোরিন পরমাণু একটি তড়িৎ ঋণাত্মকতা মৌল।
আর্গন (Ar) মৌলটি নিষ্ক্রিয় কেন?
আর্গন (Ar) গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 8 হতে দেখা যায় যে এর শেষ কক্ষপথ অষ্টকপূর্ণ। এ কারণে আর্গন মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাস স্থিতিশীল। স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাসের কারণেই Ar মৌলটি অন্য পরমাণুর সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ইলেকট্রন বর্জন, গ্রহণ কিংবা শেয়ার করার প্রয়োজন হয় না। তাই Ar মৌলটি নিস্ক্রিয়।
প্রশ্ন-২২। বেরিয়ামকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ গ্রুপ-IIA এ অবস্থিত মৌলসমূহকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়, কারণ এরা প্রত্যেকে পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন ও ক্ষার দ্রবণ তৈরি করে।
যেহেতু বেরিয়াম (Ba) মৌলটি গ্রুপ-IIA অবস্থিত। তাই বেরিয়াম মৃৎক্ষার ধাতু বলা হয়।