প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব, অষ্টম শ্রেণির আইসিটি

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. কোনটি আবিষ্কারের ফলে ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-২. ছোট শহর বা গ্রামে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে কোন সেবা ভূমিকা রাখছে?

উত্তর : টেলিমেডিসিন।

প্রশ্ন-৩. অতীতে বিদেশে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল কোনটি?

উত্তর : চিঠি।

প্রশ্ন-৪. বর্তমানে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় কোনটি?

উত্তর : ই-মেইল এড্রেস।

প্রশ্ন-৫. কোন যন্ত্র রোগীর শরীরের ত্রিমাত্রিক ছবি বের করতে পারে?

উত্তর : পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি।

প্রশ্ন-৬. বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি কোন মাধ্যমে পাওয়া যায়?

উত্তর : Internet.

প্রশ্ন-৭. www.elance.com ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে কী করা হয়?

উত্তর : আত্মকর্মসংস্থানের কাজ।

প্রশ্ন-৮. কোনটি Virtual laboratory কাজের ওয়েবসাইট?

উত্তর : www.softpedia.com

প্রশ্ন-৯. কোন চাষীরা ই-পুর্জি পেয়ে থাকেন?

উত্তর : ইক্ষু চাষীরা।

প্রশ্ন-১০. টেলিমেডিসিন কি?

উত্তর : টেলিফোনের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা নেয়া।

প্রশ্ন-১১. অনলাইনে টিকেট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-১২. তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন কর্মীর কী বৃদ্ধি পায়?

উত্তর : দক্ষতা।

প্রশ্ন-১৩. ‘জিনোম’ আবিষ্কারের ফলে কোন বিপ্লবটি শুরু হতে পারে?

উত্তর : রোগের কারণ চিহ্নিত করে তা অপসারণ।

প্রশ্ন-১৪. পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের যোগাযোগ বেশি হয় কোনটির মাধ্যমে?

উত্তর : ই-মেইল।

প্রশ্ন-১৫. স্বয়ংক্রিয় ইন্টারেক্টিভ ভয়েস প্রযুক্তি গ্রাহকদেরকে কী সুবিধা প্রদান করে?

উত্তর : যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়।

প্রশ্ন-১৬. SMS এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : Short Message Service

প্রশ্ন-১৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : রেডিও।

প্রশ্ন-১৮. ফ্যাক্স কি?

উত্তর : লিখিত তথ্য ও ছবি তৎক্ষনাৎভাবে পাঠানোর মাধ্যমে।

প্রশ্ন-১৯. ইন্টারনেটের অধিবাসীদের কী বলা হয়?

উত্তর : নেটিজেন।

প্রশ্ন-২০. ইনফরমেশন শেয়ারিং কি?

উত্তর : তথ্য বিনিময়।

প্রশ্ন-২১. এটিএম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র কোনটি?

উত্তর : ব্যাংকিং।

প্রশ্ন-২২. ই-পর্চা কী ধরনের সেবা?

উত্তর : সরকারি সেবা।

প্রশ্ন-২৩. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি কোনটি?

উত্তর : টেলিফোন।

প্রশ্ন-২৪. কম্পিউটার কী?

উত্তর : কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র।

প্রশ্ন-২৫. মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর : মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি ২ প্রকার। যথা– ১. একমুখী বা ব্রডকাস্ট পদ্ধতি; ২. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি।

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২৬. ব্যাংকের ATM মেশিনের মাধ্যমে নগদ অর্থ তোলা যায় কখন?

উত্তর : যেকোনো সময়।

প্রশ্ন-২৭. আউটসোর্সিং এর জন্য অত্যাবশ্যক কোনটি?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-২৮. বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি কোনটি?

উত্তর : মোবাইল কোম্পানি।

প্রশ্ন-২৯. যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে মোটামুটি কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : ২।

প্রশ্ন-৩০. কোনটি বাংলাদেশের সরকারি জাতীয় ওয়েব পোর্টাল?

উত্তর : www.bangladesh.gov.bd

প্রশ্ন-৩১. ‘সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা’ – উক্তিটি কার?

উত্তর : ড. ইকবাল কাদির।

প্রশ্ন-৩২. EPOS এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : Electronic Point of Sale.

প্রশ্ন-৩২. মাইক্রো কন্ট্রোলার কোনটি?

উত্তর : PLA।

প্রশ্ন-৩৩. অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ‘বর্তমানে’ কত সময় লাগে?

উত্তর : ৪ দিন।

প্রশ্ন-৩৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : রেডিও।

প্রশ্ন-৩৫. দ্বিমুখী যোগাযোগ কি?

উত্তর : দ্বিমুখী যোগাযোগ হলো একই সাথে একে অপরের সাথে যোগাযোগ। যেমন– মোবাইল, টেলিফোন।

প্রশ্ন-৩৬. ই-পুর্জি (E-purjee) কি?

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নাগরিক সেবা সমূহের অন্যতম একটি সেবা হচ্ছে ই-পূর্জি।

প্রশ্ন-৩৭. সামাজিক নেটওয়ার্ক কি?

উত্তর : সামাজিক নেটওয়ার্ক হলো একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দ্বিমুখী ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তথ্য দেওয়া-নেওয়া করতে পারে এবং এক জায়গায় হতে পারে।

 

 

প্রশ্ন-৩৮. তথ্যপ্রযুক্তি কী? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর : তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারপরও এ প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। যার ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৩৯. ‘সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা’—বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো আধুনিকীকরণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। এর ফলে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, কিছু কাজের ধারার পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন কারখানায় বিপজ্জনক অনেক কাজ রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। এসব যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁতভাবে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উত্পাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উত্পাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে আমেরিকার এমআইটির অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন, সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা অর্থাত্ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উত্পাদনশীলতা বাড়ে। ফলে নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ তৈরি হয়। ফলাফল হলো নতুন কাজের সুযোগ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব, অষ্টম শ্রেণির আইসিটি

admin

11 Min Read

প্রশ্ন-১. কোনটি আবিষ্কারের ফলে ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-২. ছোট শহর বা গ্রামে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে কোন সেবা ভূমিকা রাখছে?

উত্তর : টেলিমেডিসিন।

প্রশ্ন-৩. অতীতে বিদেশে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল কোনটি?

উত্তর : চিঠি।

প্রশ্ন-৪. বর্তমানে মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় কোনটি?

উত্তর : ই-মেইল এড্রেস।

প্রশ্ন-৫. কোন যন্ত্র রোগীর শরীরের ত্রিমাত্রিক ছবি বের করতে পারে?

উত্তর : পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি।

প্রশ্ন-৬. বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি কোন মাধ্যমে পাওয়া যায়?

উত্তর : Internet.

প্রশ্ন-৭. www.elance.com ওয়েবসাইট-এর মাধ্যমে কী করা হয়?

উত্তর : আত্মকর্মসংস্থানের কাজ।

প্রশ্ন-৮. কোনটি Virtual laboratory কাজের ওয়েবসাইট?

উত্তর : www.softpedia.com

প্রশ্ন-৯. কোন চাষীরা ই-পুর্জি পেয়ে থাকেন?

উত্তর : ইক্ষু চাষীরা।

প্রশ্ন-১০. টেলিমেডিসিন কি?

উত্তর : টেলিফোনের সাহায্যে চিকিৎসা সেবা নেয়া।

প্রশ্ন-১১. অনলাইনে টিকেট কেনার জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-১২. তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে একজন কর্মীর কী বৃদ্ধি পায়?

উত্তর : দক্ষতা।

প্রশ্ন-১৩. ‘জিনোম’ আবিষ্কারের ফলে কোন বিপ্লবটি শুরু হতে পারে?

উত্তর : রোগের কারণ চিহ্নিত করে তা অপসারণ।

প্রশ্ন-১৪. পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের যোগাযোগ বেশি হয় কোনটির মাধ্যমে?

উত্তর : ই-মেইল।

প্রশ্ন-১৫. স্বয়ংক্রিয় ইন্টারেক্টিভ ভয়েস প্রযুক্তি গ্রাহকদেরকে কী সুবিধা প্রদান করে?

উত্তর : যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়।

প্রশ্ন-১৬. SMS এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : Short Message Service

প্রশ্ন-১৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : রেডিও।

প্রশ্ন-১৮. ফ্যাক্স কি?

উত্তর : লিখিত তথ্য ও ছবি তৎক্ষনাৎভাবে পাঠানোর মাধ্যমে।

প্রশ্ন-১৯. ইন্টারনেটের অধিবাসীদের কী বলা হয়?

উত্তর : নেটিজেন।

প্রশ্ন-২০. ইনফরমেশন শেয়ারিং কি?

উত্তর : তথ্য বিনিময়।

প্রশ্ন-২১. এটিএম কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্র কোনটি?

উত্তর : ব্যাংকিং।

প্রশ্ন-২২. ই-পর্চা কী ধরনের সেবা?

উত্তর : সরকারি সেবা।

প্রশ্ন-২৩. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি কোনটি?

উত্তর : টেলিফোন।

প্রশ্ন-২৪. কম্পিউটার কী?

উত্তর : কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র।

প্রশ্ন-২৫. মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর : মানুষের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি ২ প্রকার। যথা– ১. একমুখী বা ব্রডকাস্ট পদ্ধতি; ২. দ্বিমুখী যোগাযোগ পদ্ধতি।

প্রশ্ন-২৬. ব্যাংকের ATM মেশিনের মাধ্যমে নগদ অর্থ তোলা যায় কখন?

উত্তর : যেকোনো সময়।

প্রশ্ন-২৭. আউটসোর্সিং এর জন্য অত্যাবশ্যক কোনটি?

উত্তর : ইন্টারনেট।

প্রশ্ন-২৮. বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানি কোনটি?

উত্তর : মোবাইল কোম্পানি।

প্রশ্ন-২৯. যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে মোটামুটি কয় ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : ২।

প্রশ্ন-৩০. কোনটি বাংলাদেশের সরকারি জাতীয় ওয়েব পোর্টাল?

উত্তর : www.bangladesh.gov.bd

প্রশ্ন-৩১. ‘সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা’ – উক্তিটি কার?

উত্তর : ড. ইকবাল কাদির।

প্রশ্ন-৩২. EPOS এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : Electronic Point of Sale.

প্রশ্ন-৩২. মাইক্রো কন্ট্রোলার কোনটি?

উত্তর : PLA।

প্রশ্ন-৩৩. অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ‘বর্তমানে’ কত সময় লাগে?

উত্তর : ৪ দিন।

প্রশ্ন-৩৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি?

উত্তর : রেডিও।

প্রশ্ন-৩৫. দ্বিমুখী যোগাযোগ কি?

উত্তর : দ্বিমুখী যোগাযোগ হলো একই সাথে একে অপরের সাথে যোগাযোগ। যেমন– মোবাইল, টেলিফোন।

প্রশ্ন-৩৬. ই-পুর্জি (E-purjee) কি?

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নাগরিক সেবা সমূহের অন্যতম একটি সেবা হচ্ছে ই-পূর্জি।

প্রশ্ন-৩৭. সামাজিক নেটওয়ার্ক কি?

উত্তর : সামাজিক নেটওয়ার্ক হলো একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দ্বিমুখী ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, তথ্য দেওয়া-নেওয়া করতে পারে এবং এক জায়গায় হতে পারে।

 

 

প্রশ্ন-৩৮. তথ্যপ্রযুক্তি কী? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর : তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারপরও এ প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। যার ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৩৯. ‘সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা’—বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো আধুনিকীকরণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। এর ফলে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, কিছু কাজের ধারার পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন কারখানায় বিপজ্জনক অনেক কাজ রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। এসব যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁতভাবে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উত্পাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উত্পাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে আমেরিকার এমআইটির অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন, সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা অর্থাত্ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উত্পাদনশীলতা বাড়ে। ফলে নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ তৈরি হয়। ফলাফল হলো নতুন কাজের সুযোগ।

প্রশ্ন-৪০. দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো:

১. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।

২. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়।

৩. অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।

৪. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।

৫. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।

৬. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।

৭. ই-বুক পড়ার সুবিধা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৪১।যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমানে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে বদলে গেছে যোগাযোগের ধরণ। ব্রডকাস্ট পদ্ধতির সাহায্যে রেডিও বা টেলিভিশন যোগাযোগের অন্যতম প্রযুক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক কাগজ ও ম্যাগাজিন ব্রডকাস্ট যোগাযোগের উদাহরণ।

দ্বিমুখী যোগাযোগের ক্ষেত্রে টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট বর্তমানে বহুল প্রচলিত। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের নতুন একটি পরিচয় হলো ই-মেইল এড্রেস। কয়েকটি অক্ষর দিয়ে একটি ই-মেইল এড্রেস তৈরি হয় এবং এটি দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যোগাযোগ করা যায়।

পৃথিবীর মানুষের ভেতর এখন যোগাযোগের বেশির ভাগই হয়ে থাকে ই-মেইলের সাহায্যে। আজকাল সামাজিক যোগাযোগের নতুন একটি বিষয় শুরু হয়েছে। এটি একই সাথে একমুখী ব্রডকাস্ট এবং দুইমুখী ব্যক্তিগত যোগাযোগ। এই সামাজিক নেটওয়ার্ক করে আজকাল একজন একসাথে অনেকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, সংগঠিত হতে পারে।

কাজেই তথ্যপ্রযুত্তি সারা পৃথিবীর সকল মানুষের ভেতর যোগাযোগটা বাড়িয়ে দিয়ে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে শুরু করেছে। যেখানে ভার্চুয়াল জগতে সবাই সবার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

কী করে হাজার মাইল দূরে থেকেও অসুস্থ রোগীর জটিল অপারেশন করা যায়– ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি চিকিৎসাক্ষেত্রকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ডাটাবেজের ব্যবহার, টেলিমেডিসিনের জনপ্রিয়তা ও জিনোমের আবিষ্কার চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে আমরা আগে যে বিষয়গুলো কল্পনাও করতে পারতাম না, এখন সে রকম অনেক কিছু আমাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে। বর্তমানে চিকিৎসাক্ষেত্রের একটি অসাধারণ বিষয় হচ্ছে দূর থেকে অসুস্থ রোগীর জটিল অপারেশন করা। ডাক্তারদের অনুপস্থিতিতে রোবট দিয়ে অপারেশন করার প্রযুক্তি শুরু হয়ে গেছে উন্নত বিশ্বে। এ পদ্ধতিতে ডাক্তাররা দূর থেকে অপারেশন সাইডের থ্রিডি ভিউ দেখে রোবটের মাধ্যমে অপারেশন করিয়ে নেন। ফলে অভিজ্ঞ কোন সার্জনের শারীরিক অনুপস্থিতিতেও আমরা তার চিকিৎসা সেবা পেতে পারি। এক দেশের রোগী আরেক দেশের ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করাতে পারছে। যেখানে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। তবে এ পদ্ধতির প্রয়োগ উন্নত বিশ্বে হলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত এটি সারা পৃথিবীতে  ছড়িয়ে পরবে বলে আশা করা যায়।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্তার কীভাবে নতুন কর্ম সৃজনের দিগন্ত উন্মোচন করেছে? সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়ে। ফলে সৃষ্টি করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। তদ্রুপ বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বিস্তার-এ নতুন কর্ম সৃজনের দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। নিম্নে সংক্ষেপে লেখা হলো–

ক. মোবাইল কোম্পানিতে কাজের সুযোগ : দেশের প্রায় ৯টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিতে বিপুলসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। মোবাইল কোম্পানিই বর্তমান দেশের প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি।

খ. মোবাইল ফোনসেট বিক্রয়, বিপনন ও রক্ষণাবেক্ষণ : দেশের প্রায় ১২ কোটি মোবাইল গ্রাহককে মোবাইল ফোন সেট সরবরাহ, সেগুলোর বিপনন, ইত্যাদি বিভিন্ন মানের সেবার জন্য বিপুল পরিমাণ কর্মীর চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।

গ. বিভিন্ন মোবাইল সেবা প্রদান :

বর্তমানে মোবাইলে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা যুক্ত হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল সেবাকেন্দ্র। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘ. নতুন খাতের সৃষ্টি : মোবাইলে প্রযুক্তি বিস্তারের ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো অসংখ্য নতুন খাতের সৃষ্টি হয়েছে। যার মাধ্যমে অনেক নতুন কর্মপ্রত্যাশীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

ব্যবসাক্ষেত্রে আইসিটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : জীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রের মতো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির প্রয়োগ ব্যবসা-বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করেছে। যেকোনো ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য থাকে কম সময়ে এবং কম খরচে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা এবং দুততম সময়ে তা ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়া। পণ্যের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শরু করে উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত কমীদের ব্যবস্থাপনা, তাদের দক্ষতার মান উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, বিপণন এবং সবশেষে পণ্য বা সেবার বিনিময় মূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারের সমন্বিত এবং উদ্ভাবনী প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসার উন্নয়নের পাশাপাশি মুনাফাও বাড়াতে পারে। তাই বলা যায় ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ।