প্রশ্ন-১. বস্তুতে আলো পড়ে যদি তা ফিরে না আসে তাহলে তাকে কী বলে।
উত্তর : শোষণ।
প্রশ্ন-২. আলো কি?
উত্তর : আলো এক প্রকার শক্তি।
প্রশ্ন-৩. আলো কীভাবে চলে?
উত্তর : আলো সরলরেখায় চলে।
প্রশ্ন-৪. প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুতে আলো পড়ে যদি তা বাধা পেয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে প্রতিফলন বলে।
প্রশ্ন-৫. নিয়মিত প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : যখন আপতিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল এবং প্রতিফলিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল হয় তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে।
প্রশ্ন-৬. আপতন কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুর পৃষ্ঠে আলো এসে পড়া বা পতনকে আপতন বলে।
প্রশ্ন-৭. কোন রঙের বস্তু সকল আলো শোষণ করে?
উত্তর : কালো রঙের বস্তু সকল আলো শোষণ করে।
প্রশ্ন-৮. সূর্যের সাদা আলো কয়টি রঙের সমষ্টি?
উত্তর : সূর্যের সাদা আলো সাতটি রঙের সমষ্টি।
প্রশ্ন-৯. কোন বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বোঝা যায় না?
উত্তর : প্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বোঝা যায় না।
প্রশ্ন-১০. আলো প্রতি সেকেন্ড কত কিলোমিটার বেগে চলে?
উত্তর : প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার।
প্রশ্ন-১১. দর্পণ কী?
উত্তর : যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাই দর্পণ।
প্রশ্ন-১২. আলোক রশ্মি কী?
উত্তর : আলোর সরল রৈখিক পথই আলোক রশ্মি।
প্রশ্ন-১৩. প্রতিফলক পৃষ্ঠ কী?
উত্তর : যে পৃষ্ঠে বাধা পেয়ে আলোকরশ্মি প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলে।
প্রশ্ন-১৪. স্ট্রিপ কাকে বলে?
উত্তর : পেরিস্কোপ তৈরি করতে একটি লম্বা সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণের দুটি ফালি স্থাপন করা হয়। এই ফালিকে স্ট্রিপ বলে।
প্রশ্ন-১৫. প্রিজম কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রতিসারক আলোকরশি আপতিত হয়ে প্রতিসৃত হওয়ার সময় সাতটি রঙে বিভক্ত হয়ে যায় সেই দর্পণকে প্রিজম বলে।
প্রশ্ন-১৬. উজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে?
উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের আলো আছে তাদের উজ্জ্বল বস্তু বলে। যেমন-মোমবাতি, বৈদ্যুতিক বাতি, সূর্য ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৭. অনুজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে?
উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের কোনো আলো নেই অর্থাৎ অন্য বস্তুর আলো প্রতিফলিত করে তাদের অনুজ্জ্বল বস্তু বলে।
প্রশ্ন-১৮. আলোর শোষণ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি ফিরে না আসে তাহলে তাকে আলোর শোষণ বলে।
প্রশ্ন-১৯. আলোর প্রতিফলন কয়টি সূত্র মেনে চলে?
উত্তর : আলোর প্রতিফলন দুটি সূত্র মেনে চলে।
প্রশ্ন-২০. প্রতিবিম্ব কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : প্রতিবিম্ব দুই প্রকার। যথা– ১. বাস্তব বা সদ প্রতিবিম্ব এবং ২. অবাস্তব বা অসদ প্রতিবিম্ব।
প্রশ্ন-২১. পার্শ্ব পরিবর্তন কী?
উত্তর : সমতল দর্পণে গঠিত কোনো বস্তুর সমগ্র প্রতিবিম্বটি বস্তুর সাপেক্ষে পাশের দিকে উল্টে যাওয়ার ঘটনাই পার্শ্ব বা পার্শ্বীয় পরিবর্তন।
প্রশ্ন-২২. আমরা কীভাবে দেখি?
উত্তর : কোনো বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে ফিরে আসলে আমরা বস্তুটি দেখি।
প্রশ্ন-২৩. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : আলোকরশ্মি যখন এক মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে অন্য এক মাধ্যমের কোনো তলে আপতিত হয় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে বাধা পেয়ে কিছু পরিমাণ আলো আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।
প্রশ্ন-২৪. প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা দ্বিতীয় কোনো বিন্দু হতে অপসারিত হচ্ছে বলে মনে হয়। তখন ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর প্রতিবিম্ব বলে।
প্রশ্ন-২৫. ব্যাপ্ত বা বিক্ষিপ্ত বা অনিয়মিত প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : যখন আপতিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল কিন্তু প্রতিফলিত রশ্মিগুলো পরস্পরের সমান্তরাল হয় না আলোর সে ধরনের প্রতিফলনকে ব্যাপ্ত বা বিক্ষিপ্ত বা অনিয়মিত প্রতিফলন বলে।
প্রশ্ন-২৬. প্রতিফলনের নিয়ম দুটি লেখ।
উত্তর : প্রতিফলনের নিয়ম দুটি হলো–
১. আপতিত রশ্মি, অভিলম্ব ও প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
২. আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।
প্রশ্ন-২৭. কোনো কোনো বস্তু কালো দেখায় তার কারণ কী?
উত্তর : যখন কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা প্রতিফলিত হয় না বরং বস্তুটি সম্পূর্ণ আলো শোষণ করে নেয়। ফলে বস্তুটি কালো দেখায়।