অধ্যায়-৯ : আলোর ঘটনা, ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. বস্তুতে আলো পড়ে যদি তা ফিরে না আসে তাহলে তাকে কী বলে।

উত্তর : শোষণ।

প্রশ্ন-২. আলো কি?

উত্তর : আলো এক প্রকার শক্তি।

 

প্রশ্ন-৩. আলো কীভাবে চলে?

উত্তর : আলো সরলরেখায় চলে।

 

প্রশ্ন-৪. প্রতিফলন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুতে আলো পড়ে যদি তা বাধা পেয়ে ফিরে আসে, তাহলে তাকে প্রতিফলন বলে।

 

প্রশ্ন-৫. নিয়মিত প্রতিফলন কাকে বলে?

উত্তর : যখন আপতিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল এবং প্রতিফলিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল হয় তখন তাকে নিয়মিত প্রতিফলন বলে।

 

প্রশ্ন-৬. আপতন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর পৃষ্ঠে আলো এসে পড়া বা পতনকে আপতন বলে।

 

প্রশ্ন-৭. কোন রঙের বস্তু সকল আলো শোষণ করে?

উত্তর : কালো রঙের বস্তু সকল আলো শোষণ করে।

 

প্রশ্ন-৮. সূর্যের সাদা আলো কয়টি রঙের সমষ্টি?

উত্তর : সূর্যের সাদা আলো সাতটি রঙের সমষ্টি।

 

প্রশ্ন-৯. কোন বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বোঝা যায় না?

উত্তর : প্রতিসম বস্তুর ক্ষেত্রে পার্শ্ব পরিবর্তন বোঝা যায় না।

 

প্রশ্ন-১০. আলো প্রতি সেকেন্ড কত কিলোমিটার বেগে চলে?

উত্তর : প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন-১১. দর্পণ কী?

উত্তর : যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাই দর্পণ।

 

প্রশ্ন-১২. আলোক রশ্মি কী?

উত্তর : আলোর সরল রৈখিক পথই আলোক রশ্মি।

 

প্রশ্ন-১৩. প্রতিফলক পৃষ্ঠ কী?

উত্তর : যে পৃষ্ঠে বাধা পেয়ে আলোকরশ্মি প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে তাকে প্রতিফলক পৃষ্ঠ বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. স্ট্রিপ কাকে বলে?

উত্তর : পেরিস্কোপ তৈরি করতে একটি লম্বা সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণের দুটি ফালি স্থাপন করা হয়। এই ফালিকে স্ট্রিপ বলে।

 

প্রশ্ন-১৫. প্রিজম কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রতিসারক আলোকরশি আপতিত হয়ে প্রতিসৃত হওয়ার সময় সাতটি রঙে বিভক্ত হয়ে যায় সেই দর্পণকে প্রিজম বলে।

 

প্রশ্ন-১৬. উজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে?

উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের আলো আছে তাদের উজ্জ্বল বস্তু বলে। যেমন-মোমবাতি, বৈদ্যুতিক বাতি, সূর্য ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-১৭. অনুজ্জ্বল বস্তু কাকে বলে?

উত্তর : যেসব বস্তুর নিজের কোনো আলো নেই অর্থাৎ অন্য বস্তুর আলো প্রতিফলিত করে তাদের অনুজ্জ্বল বস্তু বলে।

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৮. আলোর শোষণ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা যদি ফিরে না আসে তাহলে তাকে আলোর শোষণ বলে।

প্রশ্ন-১৯. আলোর প্রতিফলন কয়টি সূত্র মেনে চলে?
উত্তর : আলোর প্রতিফলন দুটি সূত্র মেনে চলে।

প্রশ্ন-২০. প্রতিবিম্ব কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : প্রতিবিম্ব দুই প্রকার। যথা– ১. বাস্তব বা সদ প্রতিবিম্ব এবং ২. অবাস্তব বা অসদ প্রতিবিম্ব।

প্রশ্ন-২১. পার্শ্ব পরিবর্তন কী?
উত্তর : সমতল দর্পণে গঠিত কোনো বস্তুর সমগ্র প্রতিবিম্বটি বস্তুর সাপেক্ষে পাশের দিকে উল্টে যাওয়ার ঘটনাই পার্শ্ব বা পার্শ্বীয় পরিবর্তন।

প্রশ্ন-২২. আমরা কীভাবে দেখি?
উত্তর : কোনো বস্তু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে ফিরে আসলে আমরা বস্তুটি দেখি।

প্রশ্ন-২৩. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : আলোকরশ্মি যখন এক মাধ্যম দিয়ে চলতে চলতে অন্য এক মাধ্যমের কোনো তলে আপতিত হয় তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল হতে বাধা পেয়ে কিছু পরিমাণ আলো আবার প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।

প্রশ্ন-২৪. প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা দ্বিতীয় কোনো বিন্দু হতে অপসারিত হচ্ছে বলে মনে হয়। তখন ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর প্রতিবিম্ব বলে।

প্রশ্ন-২৫. ব্যাপ্ত বা বিক্ষিপ্ত বা অনিয়মিত প্রতিফলন কাকে বলে?
উত্তর : যখন আপতিত আলোকরশ্মিগুলো পরস্পর সমান্তরাল কিন্তু প্রতিফলিত রশ্মিগুলো পরস্পরের সমান্তরাল হয় না আলোর সে ধরনের প্রতিফলনকে ব্যাপ্ত বা বিক্ষিপ্ত বা অনিয়মিত প্রতিফলন বলে।

প্রশ্ন-২৬. প্রতিফলনের নিয়ম দুটি লেখ।
উত্তর : প্রতিফলনের নিয়ম দুটি হলো–
১. আপতিত রশ্মি, অভিলম্ব ও প্রতিফলিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
২. আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।

প্রশ্ন-২৭. কোনো কোনো বস্তু কালো দেখায় তার কারণ কী?
উত্তর : যখন কোনো বস্তুতে আলো পড়ে তা প্রতিফলিত হয় না বরং বস্তুটি সম্পূর্ণ আলো শোষণ করে নেয়। ফলে বস্তুটি কালো দেখায়।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : সামিন স্কুলের ব্যবহারিক ক্লাসে পেরিস্কোপ নিয়ে এর মধ্যে তাকাতেই ক্লাসের বাইরে অবস্থিত বাগানের ফুল লক্ষ করল। ক্লাসের শেষে হাত ধোয়ার জন্য বেসিনের আয়নার সামনে যেতেই লক্ষ করল সে যত সামনে আসছে আয়নার মধ্যে তার প্রতিচ্ছবিও তত সামনে এগিয়ে আসছে, আবার দূরে যাওয়ার সময় আয়নার মধ্যে তার প্রতিচ্ছবিও দূরে সরে যাচ্ছে। এরপর বাসায় ফিরে সে প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করে ৩০º কোণে দর্পণ স্থাপন করে একটি পেরিস্কোপ তৈরি করল।
ক. আলোর প্রতিফলন কাকে বলে?
খ. প্রতিবিম্ব বলতে কী বোঝায়?
গ. আয়নায় সামিনের প্রতিচ্ছবি পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সামিনের বাসায় প্রস্তুতকৃত পেরিস্কোপ দিয়ে স্কুলের অনুরূপ বাইরের দৃশ্য দেখা সম্ভব হবে কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো বস্তুতে আলো পড়ে বাধা পেয়ে ফিরে আসার ঘটনাই আলোর প্রতিফলন।
খ. কোনো বিন্দু থেকে নির্গত আলোকরশ্মি প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর যদি কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় বা মিলিত হচ্ছে বলে মনে হয় তবে ২য় বিন্দুকে ১ম বিন্দুর প্রতিবিম্ব বলে। প্রতিবিম্ব পার্শ্ব পরিবর্তন করে। যেমন- ডান হাত নাড়ালে প্রতিবিম্ব বাঁ হাত নাড়াচ্ছে বলে মনে হয়।
গ. আয়নায় (দর্পণে) সৃষ্ট প্রতিচ্ছবির ধর্মগুলো হলো :
i. প্রতিচ্ছবি হবে লক্ষ্যবস্তুর সমান।
ii. দর্পণ থেকে লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব ও প্রতিচ্ছবির দূরত্ব সমান।
উপরোউক্ত ২য় ধর্মের কারণে সামিন (লক্ষ্যবস্তু) আয়নার যত সামনে আসছে আয়নার মধ্যে তার প্রতিচ্ছবিও তত সামনে এগিয়ে আসছে। আবার সামিন আয়না থেকে যত দূরে সরে যাচ্ছে প্রতিচ্ছবিও তত দূরে সরে যাচ্ছে।
ঘ. সামিনের বাসায় প্রস্তুতকৃত পেরিস্কোপ দিয়ে স্কুলের অনুরূপ বাইরের দৃশ্য দেখা সম্ভব হবে না। নিচে এর সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলো।
পেরিস্কোপে দুটি সমতল দর্পণকে সরু টিউবের দু’প্রান্তে টিউবের দেয়ালের সাথে ৪৫° কোণে স্থাপন করা হয়। দর্পণ দুটি পরস্পরের সমান্তরালে থাকে, তাই আপতিত আলোকে ৯০° কোণে বিসরিত করে। ফলে লক্ষ্যবস্তু দেখা যায়।
কিন্তু সামিন তার প্রস্তুতকৃত পেরিস্কোপে ৩০° কোণে দর্পণ স্থাপন করেছে। এক্ষেত্রে আলো এসে সামিনের পেরিস্কোপের প্রথম দর্পণে ৬০° কোণে বেঁকে যায়। ফলে সামিনের পেরিস্কোপে আলোকরশ্মি প্রথম দর্পণে প্রতিফলনের পর আর দ্বিতীয় দর্পণে পৌঁছাবে না। আলোর প্রতিফলন ও আপতন ঠিকমতো ঘটবে না। তাই লক্ষ্যবস্তুও ঠিকমতো দেখা যাবে না।