থার্মোমিটার কি? কয়েকটি থার্মোমিটারের নাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

থার্মোমিটার (Thermometer) হল তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র, যার সাহায্যে কোনো বস্তুর তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় এবং বিভিন্ন বস্তুর তাপমাত্রার পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি থার্মোমিটার হলো–

  • অ্যালকোহল থার্মোমিটার
  • বেকম্যান ডিফারেন্সিয়াল থার্মোমিটার
  • দ্বি-ধাতব যান্ত্রিক থার্মোমিটার
  • কুলম্ব আবদ্ধকরণ থার্মোমিটার
  • গ্যালিলিও থার্মোমিটার
  • অবলাল থার্মোমিটার
  • লিকুইড ক্রিস্টাল থার্মোমিটার
  • পারদ থার্মোমিটার
  • চিকিৎসা বা ডাক্তারি থার্মোমিটার
  • রোধ থার্মোমিটার
  • থার্মিস্টর
  • প্লাটিনাম রোধ থার্মোমিটার
ডাক্তারি থার্মোমিটার : মানবদেহের তাপমাত্রা (জ্বর) মাপার কাজে ডাক্তাররা যে রকম ফারেনহাইট থার্মোমিটার ব্যবহার করে থাকেন তা-ই হলো ডাক্তারি বা ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার। একে শরীর থেকে সরিয়ে নেয়ার অনেক পরও শরীরের তাপমাত্রা জানা যায়। এতে নলের গায়ে ৯৫° ফা. থেকে ১১০° ফা. পর্যন্ত দাগ কাটা থাকে। থার্মোমিটারে বরফের গলনাঙ্ক ৩২° ফা. এবং পানির স্ফুটনাংক ২১২° ফা.।
পারদ থার্মোমিটার : পারদ একটি উজ্জ্বল ধাতব তরল পদার্থ। তাপ প্রয়োগে তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে সাথে পারদের আয়তন সুষমভাবে বাড়ে। পারদের এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে থার্মোমিটার তৈরী করা হয় এবং এই থার্মোমিটারকে পারদ থার্মোমিটার বলা হয়।
প্লাটিনাম রোধ থার্মোমিটার : তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে ধাতব পদার্থের বৈদ্যুতিক রোধ বেড়ে যায়। প্লাটিনামের এ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে প্লাটিনাম রোধ থার্মোমিটার তৈরি করা হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে বিজ্ঞানী সিমেন প্লাটিনাম রোধ থার্মোমিটার তৈরি করেন।