হাম ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। যে কোনো বয়সেই মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে হাম দেখা দেয়।
হাম রোগের লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণ হচ্ছে–
- প্রথমে সর্দি হয়, নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে, মাথাব্যথা হয়, মুখমণ্ডল ফোলা মনে হয়।
- ১০৩° ফা. থেকে ১০৪° ফা. পর্যন্ত জ্বর উঠে। ৩/৪ দিন পর ঘামাচির মতো দানা বা র্যাশ প্রথমে কানের পেছনে দেখা যায়, পরে সারা শরীর ও মুখমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। গাঢ় গোলাপি ও লাল রঙের র্যাশে সারা শরীর ফুলে যায়। র্যাশ বের হওয়ার ৫/৬ দিন পর র্যাশগুলোর রং হালকা হয়ে যায়, জ্বর কমে আসে। ৯/১০ দিন পর দানা শুকিয়ে চামড়া উঠতে থাকে।
- চোখে র্যাশ উঠলে চোখের পাতা ও মনি ফুলে যায়, চোখ লাল হয়ে যায়।
- গলার ভিতরেও র্যাশ উঠে ফলে শিশুর খেতে খুবই কষ্ট হয় ও বমি হয়।
- হাম সেরে যাওয়ার পর অনেক সময় নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
হাম হলে করণীয় কি?
- হাম হওয়ার সাথে সাথে শিশুকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। শুশ্রূষাকারী ছাড়া কারও ঐ ঘরে প্রবেশ করা উচিত নয়। শুশ্রূষাকারী সুস্থ ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশার আগে কাপড় বদলিয়ে সাবান দিয়ে হাত, মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত সব জিনিস আলাদা রাখতে হবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। রোগ যাতে জটিল না হয় সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- তরল খাদ্য ঘন ঘন খেতে দিতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
হাম প্রতিরোধের উপায় কি?
- যে বাড়িতে হাম দেখা দিবে সে বাড়িতে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
- ৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে।
এ সম্পর্কিত বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। হাম কী ধরনের সংক্রামক রোগ?
ক) ব্যাকটেরিয়াজনিত
খ) ভাইরাসজনিত
গ) ছত্রাকজনিত
ঘ) অ্যালার্জিজনিত
সঠিক উত্তর : খ) ভাইরাসজনিত
২। হাম কত বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়?
ক) ৫
খ) ৬
গ) ৭
ঘ) ৮
সঠিক উত্তর : ক) ৫
৩। হামের ভাইরাস শরীরে প্রবেশের কতদিনের মধ্যে হাম দেখা দেয়?
ক) ১২
খ) ১৩
গ) ১৪
ঘ) ১৫
সঠিক উত্তর : গ) ১৪