মিয়োসিস কোষ বিভাজনের প্রোফেজ-১ এর প্যাকাইটিন উপপর্যায়ে হোমোলোগাস ক্রোমোজোমের দুটি ননসিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে জীনের অংশের বিনিময়কে ক্রসিংওভার (crossing over) বলে।
ক্রসিংওভার কীভাবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে?
মিয়োসিস কোষ বিভাজনের প্যাকাইটিন উপদশায় ক্রসিংওভারের সময় প্রথমে দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থান বরাবর ভেঙে যায়। পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়াজমা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয়করণের মাধ্যমে ক্রোমাটিডের বিনিময় শেষ হয়। এর ফলে ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে, সাথে সাথে জিনেরও বিনিময় ঘটে। জিন-এর বিনিময়ের ফলে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিনিময় হয়, ফলে জীবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।ক্রসিংওভারের গঠন
- প্রথমে দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড একইস্থান বরাবর ভেঙ্গে যায়।
- পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়েজমা সৃষ্টি হয়।
- শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয় করণের মাধ্যেমে ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময় ঘটে, সাথে সাথে জীনের অংশেরও বিনিময় ঘটে।
ক্রসিংওভারের গুরুত্ব
- ক্রসিং ওভারের ফলে দুটি ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময় ঘটে ফলে জীনগত পরিবর্তন সাধিত হয়।
- জীনগত পরিবর্তনের সাথে সাথে জীবের বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন সাধিত হয়।
- নতুন নতুন প্রকরণের সৃষ্টি হয় ।