প্রােটোপ্লাজম হলো কোষের ভিতরের অর্ধস্বচ্ছ, থকথকে জেলির মতো বস্তু। গ্রিক শব্দ protos-প্রথম, plasma-আকার থেকে Protoplosm শব্দটির উৎপত্তি। একে সাইটোপ্লাজমিক ধাত্র বা cytoplasmic matrix বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এর মধ্যেই নিউক্লিয়াস ও অন্যান্য কোষীয় অঙ্গাণুসমূহ অবস্থান করে। প্রােটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া অবিরতভাবে চলে। বিভিন্ন প্রভাবকের প্রভাবে প্রােটোপ্লাজমের মৃত্যু ঘটলে কোষেরও মৃত্যু ঘটে থাকে।
আবিষ্কার ও নামকরণ
বিজ্ঞানী পারকিনজি (Purkinje, ১৮৪০) সর্বপ্রথম প্রােটোপ্লাজম কথাটি ব্যবহার করেন। প্রােটোপ্লাজমই যে প্রাণের ভৌত ভিত্তি সে সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী ম্যাক্স সূলজ (Max Schultze, ১৮৬৩) এবং টমাস হাক্সলে (Thomas Huxley, ১৮৬৮)।