প্রশ্ন-৩৬. শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
উত্তর : বিশাল প্রাণিজগৎকে সহজে সু-শৃঙ্খলভাবে জানার জন্য এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
প্রশ্ন-৩৭. দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বােঝ?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে জানা যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণিবিন্যাস অপরিহার্য। শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রাণিকুল ও উদ্ভিদজগতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, গঠন এবং পারস্পরিক সম্পর্কের ধারণা লাভ করা যায়। তাই শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।
- দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
- পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
- শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
- সাধারণত একলিঙ্গ।
- দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলোম নেই।
উত্তর : কুনােব্যাঙ জীবনের প্রথম অবস্থায় অর্থাৎ ব্যাঙাচি থাকা অবস্থায় পানিতে বাস করে এবং মাছের মতাে বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। আবার পরিণত বয়সে এরা ডাঙায় বাস করে এবং ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলাে উভচর প্রাণীর মধ্যে রয়েছে। তাই কুনােব্যাঙকে উভচয় প্রাণী বলা হয়।প্রশ্ন-৪১. উভচর প্রাণী বলতে কী বােঝায়? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যারা জীবনের প্রথম অবস্থায় সাধারণত পানিতে বাস করে এবং মাছের মতাে বিশেষ ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়, পরিণত বয়সে ডাঙায় বাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। যেমন : কুনােব্যাঙ।
প্রশ্ন-৪২. নিডােব্লাস্ট হাইড্রার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ— ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : হাইড্রার দেহ দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত। দেহের ভেতরের দিকের স্তরটি এন্ডােডার্ম এবং বাইরের দিকের স্তরটি এক্টোডার্ম। এক্টোডার্মে নিডােব্লাস্ট নামে এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে। যা শিকার ধরা, আত্মরক্ষা, চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়। তাই বলা যায়, নিডােব্লাস্ট হাইড্রার একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ।
উত্তর : জীবদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জীবদেরকে বিভিন্ন স্তর বা ধাপে পর্যায়ক্রমে সাজানাের পদ্ধতিকে বলা হয় শ্রেণিবিন্যাস। বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে মিল, অমিল ও পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই এই শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
উত্তর : আর্থ্রোপোডা পর্বের দুইটি বৈশিষ্ট্যঃ
- দেহ খণ্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
- মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
প্রশ্ন-৪৫. ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ ইউরোকর্ডাটার বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ–
i. প্রাথমিক অবস্থায় এদের ফুলকা রন্ধ্র থাকে।
ii. এদের পৃষ্ঠদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ফাঁকা মেরুরজ্জু থাকে।
iii. এদের লেজে নটোকর্ড থাকে।
iv. এদের গলবিল প্রশস্ত ও অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।