সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধিও বলা হয়, এ ধরনের অস্থিসন্ধিতে অস্থি, তরুণাস্থি, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বা রস, লিগামেন্ট বা অস্থিবন্ধনী থাকে। যখন দুটি অস্থি একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি অস্থিসন্ধি গঠন করে, তখন তাকে সরল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। দুইয়ের বেশি অস্থি মিলে অস্থিসন্ধি তৈরি হলে তাকে জটিল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে।
অস্থিসন্ধি গঠনের সময় অস্থির বহির্ভাগে তরুণাস্থি থাকে, ফলে অস্থি ঘর্ষণ থেকে রক্ষা পায় এবং ক্ষয় হয় না। আর লিগামেন্ট দ্বারা অস্থিগুলো বন্ধনীর মতো আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। অস্থির আবরণকে পেরি অস্টিয়াম বলে। আমাদের হাঁটুর জয়েন্ট, কনুইয়ের সন্ধি, স্কন্ধ সন্ধি প্রভৃতি সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধির উদাহরণ।
সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধির বৈশিষ্ট্য
অস্থিসন্ধিকে দৃঢ়ভাবে আটকে রাখার জন্য অস্থিবন্ধনী বা লিগামেন্ট বেষ্টিত একটি মজবুত আবরণী বা ক্যাপসুল থাকে। অস্থিসন্ধিতে সাইনোভিয়াল রস ও তরুণাস্থি থাকাতে অস্থিতে অস্থিতে ঘর্ষণ ও তজ্জনীত ক্ষয় হ্রাস পায় ও অস্থিসন্ধির নড়াচড়া করাতে কম শক্তি ব্যয় হয়।