বচন কাকে বলে? বচন কত প্রকার ও কি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

বচন ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বচনের অর্থ সংখ্যা সম্পর্কিত ধারণা।

যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায়, তাকে বচন বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল শব্দ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সংখ্যা বুঝায়, তাদেরকে বচন বলে। যেমনঃ একটি পাখি, অনেকগুলো পাখি ইত্যাদি।

 

বচনের প্রকারভেদ

বচন দুই প্রকার। যথাঃ– (ক) একবচন ও (খ) বহুবচন।

(ক) একবচন : যে সকল শব্দ দ্বারা একটি মাত্র ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায়, তাদেরকে একবচন বলে। যেমন- কলমটি, বইটি, আমটি, আমি, তুমি ইত্যাদি।

বাংলায় একবচনের জন্য বিশেষ কোন প্রত্যয় বা বিভক্তি নেই। শব্দের মূল রূপটিকেই একবচন বোঝায়। তবে মাঝে মাঝে বিশেষ্যের পর টা, টি, খানা, খানি, গাছা, গাছি, গাছ ইত্যাদি প্রত্যয় বাচক শব্দ যুক্ত হয়ে একবচন বোঝানো হয়। যেমন- একটি পাখি, পাখিটি, আমটি, একগাছাচুড়ি, চুড়িটি, গাছটি, বইখানা, লাঠিগাছা, মালাগাছি ইত্যাদি।

(খ) বহুবচন : যে সকল শব্দ দ্বারা একের অধিক ব্যক্তি বা বস্তু বুঝায়, তাদেরকে বহুবচন বলে। যেমন- বইগুলো, কলমগুলো, আমরা তারা ইত্যাদি।

বিঃদ্রঃ

* শব্দের আগে এক থাকলে একবচন হয়।

* শব্দের পরে টি, টা, খানা, খানি, ইত্যাদি থাকলে বহুবচন হয়।

একবচন থেকে বহুবচনে পরিবর্তনের নিয়ম কি?

(১) ব্যক্তিবাচক শব্দের শেষে রা, এরা, গণ, গুলি, গুলো, দিক, দিগকে, দের, দেরকে, এদের, এদেরকে ইত্যাদি যুক্ত করে বহুবচন করা হয়। যেমনঃ

  • মানুষ (একবচন) – মানুষেরা (বহুবচন)
  • ঋষি (একবচন) – ঋষিগণ (বহুবচন)
  • মাছ (একবচন) – মাছগুলো (বহুবচন)
  • ছেলে (একবচন) – ছেলেরা (বহুবচন)
  • বই (একবচন) – বইগুলো (বহুবচন)