বিভিন্ন মৌলের পরমাণুসমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন আদান-প্রদান এবং শেয়ারের মাধ্যমে পরমাণুসমূহের শেষ শক্তিস্তরে যে আটটি ইলেকট্রনের বিন্যাস লাভ করে তাকে অষ্টক নিয়ম বলে। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) গঠনের সময় সোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং ক্লোরিন পরমাণু ঐ ইলেকট্রন গ্রহণ করে। এভাবেই, উভয় মৌলের পরমাণুই সর্ববহিঃস্থ স্তরে অষ্টক কাঠামো লাভ করে।
অষ্টক নিয়মের সাহায্যে বেশিরভাগ যৌগের বন্ধন ব্যাখ্যা করা যায়। মৌলসমূহ অষ্টক পূর্ণ করার জন্যই রাসায়নিক বন্ধনে অংশ নেয়।
রাসায়নিক সংযোগ সূত্রগুলো কি কি?
রাসায়নিক সংযোগ সূত্রগুলো হলোঃ
১. ভরের নিত্যতা সূত্র।
২. স্থিরানুপাত সূত্র।
৩. গুণানুপাত সূত্র।
৪. বিপরীত অনুপাত সূত্র।
৫. গ্যাস আয়তন সূত্র।
- ভরের নিত্যতা সূত্রঃ যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থসমূহের মোট ভর, বিক্রিয়কগুলোর মোট ভরের সমান থাকে।
- স্থিরানুপাত সূত্রঃ উৎস যাই হোক না কেন, একই যৌগে একই মৌলসমূহ তাদের ভরের একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে যুক্ত থাকে।
- বিপরীত অনুপাত সূত্রঃ ১৭৯২ সালে রসায়নবিদ রিকটার (Richter) সর্বপ্রথম সূত্রটি প্রকাশ করেন। সূত্রটি হলো– “দুই বা ততোধিক মৌল অপর একটি মৌলের নির্দিষ্ট ভরের সাথে যে ভর অনুপাতে সংযুক্ত হয়, তারা পরস্পরের সাথে সে ভর অনুপাত অথবা তার সরল গুণিতক বা উপগুণিতকে সংযুক্ত হয়।”
রাসায়নিক সংযোগ সূত্রগুলোর প্রথম চারটি ভর অনুপাত মৌলের সংযোগের নিয়ম প্রকাশ করে এবং পঞ্চম সূত্রটি গ্যাসের ক্ষেত্রে আয়তন অনুপাত সংযোগের নিয়ম প্রকাশ করে।