ক্রিয়াপদের মূলকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলে। যেমনঃ কর্, যা, খা, চল্ প্রভৃতি। আবার, ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটি অংশ পাওয়া যায়; এদের একটি হলো ধাতু বা ক্রিয়ামূল, অন্যটি হলো ক্রিয়া বিভক্তি।
ধাতু বা ক্রিয়ামূলের প্রকারভেদ
বাংলা ভাষায় দেড় হাজারের মতো ক্রিয়ামূল বা ধাতু রয়েছে। গঠনগত দিক বিবেচনায় ধাতুকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ ১. মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু, ২. সাধিত ধাতু এবং ৩. যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু।
- মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু : যে সকল ধাতুকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু বলে। যেমন- √কর্, √চল, √দেখ্, √খেল,√পড়, √খা ইত্যাদি।
- সাধিত ধাতু : কোন মৌলিক ধাতু কিংবা নাম শব্দের সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে সাধিত ধাতু বলে। যেমন- √কর + আ = √করা, √দেখ্ + আ = √দেখা, √পড়্+আ= √পড়া
- সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু : বিশেষ্য, বিশেষণ, ইত্যাদির সাথে কর্, দে, হ,পা ইত্যাদি মৌলিক ধাতু যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠন করে তাকে সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু বলে। যেমন- পূজা কর্, রাজি হ, কষ্ট পা, শাস্তি দে।
বহুনির্বাচন প্রশ্ন ও উত্তর
১. ক্রিয়ামূল বা ধাতু কাকে বলে?
ক. বিশেষ পদকে
খ. ক্রিয়ামূলকে
গ. বিশেষণকে
ঘ. পদকে
উত্তর : খ. ক্রিয়ামূলকে
২. যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোকে বলা হয়—
ক. সাধিত ধাতু
খ. মৌলিক ধাতু
গ. যৌগিক ধাত
ঘ. প্রযোজক ধাতু
ক. পাঁচ প্রকার
খ. চার প্রকার
গ. তিন প্রকার
ঘ. দুই প্রকার
উত্তর : গ. তিন প্রকার
৪. তৎসম ক্রিয়া পদের ধাতুকে কী বলে?
ক. সাধিত ধাতু
খ. খাঁটি বাংলা ধাতু
গ. সংস্কৃত মূল ধাতু
ঘ. নাম ধাতু
উত্তর: গ. সংস্কৃত মূল ধাতু
৫. ‘আ’ প্রত্যয়যোগে ধাতুকে কী বলে?
ক. মৌলিক ধাতু
খ. সাধিত ধাতু
গ. যৌগিক ধাতু
ঘ. সব
উত্তর : খ. সাধিত ধাতু
৬. বিদেশি ধাতু কোনটি?
ক. ফির্
খ. গমন
গ. পড়
ঘ. নাচ্
উত্তর: ক. ফির্
৭. মৌলিক ধাতুর সঙ্গে আ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয় নাম কী?
ক. বিশেষণ
খ. ক্রিয়ামূল
গ. সাধিত ধাতু
ঘ. নাম ধাতু
উত্তর : ঘ. নাম ধাতু
৮. কোনটি মৌলিক ধাতু?
ক. করা
খ. দেখ্
গ. কাটা
ঘ. দোলা
উত্তর: খ. দেখ্
৯. সাধিত ধাতু কত প্রকার?
ক. দুই প্রকার
খ. তিন প্রকার
গ. চার প্রকার
ঘ. পাঁচ প্রকার
উত্তর : খ. তিন প্রকার