অর্থনীতি বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা কি?
উত্তর :
 ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা হলো এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদনের উপকরণসমূহের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে এবং মুনাফার ভিত্তিতে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। একে পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থাও বলা হয়।

প্রশ্ন-২. নিকাশ ঘর বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 নিকাশ ঘর বলতে দেনা-পাওনার ক্লিয়ারিং হাউজকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৩. উৎপাদন বলতে কী বোঝো?
উত্তর :
 উৎপাদন বলতে মূলত উপযোগ সৃষ্টি করাকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৪. মোট উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর :
 বিভিন্ন উপকরণ নিয়োগের দ্বারা যে উৎপাদন পাওয়া যায়, তাকে মোট উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-৫. গড় উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 মোট উৎপাদনের পরিমাণকে মোট উপকরণ দ্বারা ভাগ করলে গড়  উৎপাদন পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-৬. প্রান্তিক উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর :
 এক একক উৎপাদনের উপকরণ পরিবর্তনের (অর্থাৎ শ্রম বা মূলধন) ফলে উৎপাদনের যে পরিবর্তন হয়, তাকে প্রান্তিক উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-৭. শ্রম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমকে শ্রম বলে।

প্রশ্ন-৮. দায় বীমা কাকে বলে?

উত্তর : একটি বীমা কোম্পানী যখন চুক্তি অনুসারে সম্পত্তির ধ্বংশ, ব্যক্তিগত দুর্ঘটনার ক্ষতি বা মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ করতে দায়বদ্ধ হয় তখন তাকে দায় বীমা বলে। এ দায় বীমাও সাধারণ বীমার আওতাভুক্ত। বিশ্বস্থতা বীমা (Fidelity Insurance) মোটরযান বীমা (Automobile Insurance) মেশিনারীজ বীমা (Machinary Insurance) ইত্যাদি দায় বীমার উদাহরণ।

প্রশ্ন-৯. সেবাগত উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 মানুষ তার সেবা দ্বারা যে উৎপাদন সৃষ্টি করে, তাকে সেবাগত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-১০. স্থানগত উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 যে দ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করলে উপযোগ বৃদ্ধি পায়, তাকে স্থানগত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-১১. উৎপাদক কাকে বলে?
উত্তর :
 উপকরণ সংগ্রহ থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সব কাজ তদারককারীকে উৎপাদক বলে।

প্রশ্ন-১২. রূপগত উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর :
 দ্রব্যের রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন দ্রব্য উৎপাদন করাকে রূপগত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-১৩. সময়গত উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর :
 সময়ের ব্যবধানে যেসব  জিনিসের উৎপাদন ও উপযোগ বাড়ে, তাকে সময়গত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-১৪. মালিকানাগত উৎপাদন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 অর্থনৈতিক দ্রব্য ও সেবার মালিকানা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত উৎপাদন সৃষ্টি করাকে মালিকানাগত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-১৫. উৎপাদনের উপকরণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর :
 কোনো কিছু উৎপাদনের জন্য যেসব দ্রব্য বা সেবাকর্ম প্রয়োজন হয়, সেগুলোকে উৎপাদনের উপকরণ বলে।

প্রশ্ন-১৬. সামষ্টিক অর্থনীতি কাকে বলে?

উত্তর : অর্থনৈতিক ঘটনাকে সামগ্রিক বা পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্লেষণ করাকে সামষ্টিক অর্থনীতি (Macro economics) বলে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বিষয়গুলােকে খণ্ড খণ্ডভাবে ব্যাখ্যা না করে সামগ্রিকভাবে ব্যাখ্যা করলে তাকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বলে। যেমন— জাতীয় আয়, জাতীয় উৎপাদন, সামগ্রিক ভােগ, সামগ্রিক চাহিদা, সাধারণ দামস্তর, মােট যােগান, মােট বিনিয়ােগ ইত্যাদির আলােচনা সামষ্টিক অর্থনীতির অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন-১৭. ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি কী?
উত্তর :
 উপকরণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন বাড়ার নিয়মকে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উৎপাদন বিধি বলে।

প্রশ্ন-১৮. প্রকাশ্য ব্যয় কী?
উত্তর :
 কোনো উৎপাদনী প্রতিষ্ঠান ভাড়া বা উপকরণ ক্রয়ের জন্য দৃশ্যমান যে ব্যয় করে, এদের সমষ্টিকে প্রকাশ্য ব্যয় বলে।

প্রশ্ন-১৯. কর কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর :
 কর দুই প্রকার। যথা- প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর।

প্রশ্ন-২০. লেভি কি?
উত্তর :
 লেভি হলো বিশেষ বিশেষ সময়ে আরোপিত জনগণের নিকট থেকে আদায় করা বিশেষ ধরনের রাজস্ব।

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২১. উপযোগ কাকে বলে?
উত্তর :
 অর্থনীতির পরিভাষায় কোনো দ্রব্যের মাধ্যমে মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ (Utility) বলে।

প্রশ্ন-২২. মূল্য সংযোজন কর কি?
উত্তর :
 মূল্য সংযোজন কর বা VAT (Value Added Tax) হলো কোনো দ্রব্য বা সেবার উৎপাদন ও বণ্টনের প্রতিটি পর্যায়ে সংযোজিত মূল্যের ওপর আরোপিত শতকরা হারের কর।

প্রশ্ন-২৩. নিমজ্জমান মূলধন কাকে বলে?
উত্তর :
 যে মূলধন কেবল এক জাতীয় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অন্য ক্ষেত্রে বা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে না তাকে নিমজ্জমান মূলধন বলে। যেমন- কাঠের লাঙল।

প্রশ্ন-২৪. মূলধন কাকে বলে?

উত্তর : মানুষের শ্রমের দ্বারা উৎপন্ন সম্পদের যে অংশ সরাসরি ভোগের জন্য ব্যবহার না হয়ে পুনরায় অধিকতর উৎপাদন কাজে লাগে তাকেই অর্থনীতিতে মূলধন বলে।প্রশ্ন-২৫. ভাসমান মূলধন কাকে বলে?
উত্তর :
 যেসব মূলধন একাধিক উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা যায় এবং প্রয়োজনবোধে একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তর করা যায় তাকে ভাসমান মূলধন বলে।

প্রশ্ন-২৬. প্রকৃত মজুরি কি?
উত্তর 
: দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রকার অভাব পূরণের জন্য শ্রমিক তার আর্থিক মজুরি দিয়ে যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করে এবং কর্মস্থল থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা লাভ করে এ দুয়ের সমষ্টি হলো প্রকৃত মজুরি।

প্রশ্ন-২৭. সরকারি ঋণ কাকে বলে?
উত্তর :
 সরকার দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ব্যক্তি সংস্থার নিকট থেকে অথবা বিদেশি সরকার বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে যে ঋণ গ্রহণ করে তাকে সরকারি ঋণ বলে।

প্রশ্ন-২৯. বিহিত মুদ্রা কাকে বলে?
উত্তর :
 যে মুদ্রা সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতে ইস্যু করা এবং যা সবাই আইনগত গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে তাকে বিহিত মুদ্রা বলে।

প্রশ্ন-৩০. বিহিত মুদ্রাকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর :
 বিহিত মুদ্রাকে ২ (দুই) ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন-৩২. একমালিকানা কারবারের সংজ্ঞা কি?
উত্তর :
 যে কারবারে একজন মাত্র মালিক থাকে এবং মালিক নিজেই ব্যবসায় উপকরণ সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে, তাকে একমালিকানা কারবার (Single Proprietorship) বলে।

প্রশ্ন-৩৩. সূচক সংখ্যা কি?
উত্তর :
 সূচক সংখ্যা হলো একটি সংখ্যাবাচক গড় পদ্ধতি, যা অর্থের মূল্য পরিবর্তন পরিমাপ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৩৪. বন্ড কি?
উত্তর :
 বন্ড হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণের দলিল যা বিক্রি করে কোম্পানি বা সরকার তহবিল সংগ্রহ করে।

প্রশ্ন-৩৫. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাকে বলে?
উত্তর :
 দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দ্রব্য ও সেবার বিনিময়কে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলে।

প্রশ্ন-৩৭. বৈদেশিক বাণিজ্য কাকে বলে?
উত্তর :
 দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী দ্রব্য ও সেবার বিনিময়কে বৈদেশিক বাণিজ্য বলে।

প্রশ্ন-৩৮. স্থির মাত্রাগত উৎপাদন কাকে বলে?
উত্তর :
 উৎপাদনের সকল উপকরণ একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে বৃদ্ধি করলে উৎপাদনও যদি একই অনুপাতে বৃদ্ধি পায় তাহলে তাকে স্থির মাত্রাগত উৎপাদন বলে।

প্রশ্ন-৩৯. লেনদেনের ভারসাম্য কাকে বলে?
উত্তর :
 একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেশের জনগণের সাথে অন্যান্য দেশের জনগণের সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেনের সুবিন্যস্ত হিসাবকেই ওই দেশের লেনদেনের ভারসাম্য বলে।

প্রশ্ন-৪০. চাহিদা রেখা কি?
উত্তর :
 অর্থনীতিতে চাহিদা রেখা হল একটি লেখচিত্র যেখানে কোনো দ্রব্যের দাম ও ভোক্তাদের নির্দিষ্ট দামে উক্ত দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছার মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়। জজ শ্রমের চাহিদা কাকে বলে? জজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট মজুরিতে উৎপাদনকারী বা নিয়োগকর্তা যে পরিমাণ শ্রম নিয়োগ দিতে চায়, তাকে শ্রমের চাহিদা বলে।