প্রজনন কী?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কোন জীব তার মতো এক বা একাধিক উর্বর জীব সৃষ্টি করে থাকে তাকে প্রজনন বলে। প্রজনন প্রধানত দুই ধরনের– অযৌন এবং যৌন।
পুংগ্যামেটোফাইট বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ পরাগরেণু, পরাগনালিকা, পুংগ্যামেট, নালিকা নিউক্লিয়াস এর সমন্বয়ে গঠিত হয় পুংগ্যামেটোফাইট।
ডিম্বক কী?
উত্তরঃ ডিম্বাশয়ের অভ্যন্তরে অমরার সাথে যুক্ত যে স্ফীত অংশ দেখা যায় তার নাম ডিম্বক।
অমরা কী?
উত্তরঃ ডিম্বাশয়ের ভেতরে অবস্থিত যে বিশেষ টিস্যু থেকে ডিম্বক উৎপন্ন হয় তার নাম অমরা।
নিষেক কাকে বলে?
উত্তরঃ পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন প্রক্রিয়াকে নিষেক বলে। নিষেকের ফলে জাইগোট সৃষ্টি হয়।
দ্বিনিষেকক্রিয়া কী?
উত্তরঃ একই সময়ে ডিম্বাণুর সাথে একটি পুংগ্যামেটের মিলন ও সেকেন্ডারির নিউক্লিয়াসের সাথে অপর পুংগ্যামেটের মিলন প্রক্রিয়াকে দ্বিনিষেক ক্রিয়া বলে।
অযৌন জনন কী?
উত্তরঃ পুং ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলন ছাড়া কোন জীব অপত্য জীব সৃষ্টি করলে তাকে অযৌন জনন বলে। দুভাবে এ জনন ঘটতে পারে– অযৌন স্পোর সৃষ্টির মাধ্যমে এবং দৈহিক অঙ্গের মাধ্যমে।
অঙ্গজ জনন কী?
জোড় কলম কী?
উত্তরঃ উন্নত উদ্ভিদের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য জোড় কলম তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে নিবাচিত উদ্ভিদের একটি শাখা একই প্রজাতির অন্য একটি স্থায়ী উদ্ভিদের শাখার সাথে সংযুক্ত করা হয়। নির্বাচিত উদ্ভিদের শাখাকে সিয়ন এবং স্থায়ী উদ্ভিদকে স্টক বলে। সিয়ন শাখাটি বিকশিত হওয়া শুরু করলে স্টকের শাখাটি উপরের দিক থেকে কেটে ফেলা হয়। এ পদ্ধতিতে উন্নত জাতের কুল, আম ইত্যাদি উদিদের জনন ঘটানাে হয়।
গুটি কলম কী?
উত্তরঃ গুটি কলম একটি প্রাচীন পদ্ধতি। শক্ত কাণ্ডযুক্ত উদ্ভিদ যেমন, লিচু লেবু লকটন, আম ইত্যাদিতে গুটিকলম দেয়া হয়। এক্ষেত্রে উদ্ভিদের একটি সরু কান্ডের ২-৩ ইঞ্চির বাকল তুলে ফেলা হয়। সেখানে গোবর মিশ্রিত মাটির প্রলেপ দিয়ে কাপড় বা খড় দিয়ে পেঁচিয়ে শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেধে দিতে হয়। এরপর নিয়মিত পানি দিতে থাকলে সেখানে অস্থানিক মূল গজায়। মূলসহ উদ্ভিদের শাখাটি বিচ্ছিন্ন করে অন্যত্র আর্দ্র মাটিতে রোপণ করলে সেখানে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
পার্থেনোজেনেসিস কী?
উত্তরঃ যৌন জননক্ষম উদ্ভিদের সাধারণত দুটি বিপরীত ধর্মী গ্যামেটের (ডিম্বাণু ও শুক্রাণু) মিলনে সৃষ্ট জাইগোটের মাধ্যমে প্রজনন ঘটে থাকে। কিন্তু কোন কোন উদ্ভিদের অনিষিক্ত গ্যামেট বিকশিত হয়ে নতুন উদ্ভিদ জন্ম দেয়। অনিষিক্ত গ্যামেট হতে ভ্রুণ তথা নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে পার্থেনোজেনেসিস বা অপুংজনি বলে।