ফ্লিপ-ফ্লপ হলো সিকুয়েন্সিয়াল লজিক সার্কিট দ্বারা গঠিত একটি বিশেষ ধরনের বাইস্ট্যাবল মাল্টিভাইব্রেটর সার্কিট। এর দুটি কন্ট্রোল ইনপুট এবং দুটি আউটপুট আছে। যার একটি High State হলে অপরটি Low State হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ অবস্থা বলতে বাইনারি (১) এবং নিম্ন অবস্থা বলতে বাইনারি (০) কে বুঝায়। একটি ল্যাচ ফ্লিপ ফ্লপ এক বিট (Single Bit) তথ্য ধারণ করতে পারে। অর্থাৎ এটি মেমােরি ডিভাইস হিসেবেও কাজ করে।
ফ্লিপ-ফ্লপের প্রকারভেদ
ফ্লিপ-ফ্লপ সাধারণত চার প্রকার। যথা- SR, D, JK, T ফ্লিপ-ফ্লপ।
ফ্লিপ-ফ্লপের ব্যবহার
ফ্লিপ-ফ্লপের ব্যবহার বা প্রয়ােগ ক্ষেত্র
সিকোয়েন্সিয়াল লজিক সার্কিট গঠনে ফ্লিপ-ফ্লপের ব্যবহার সর্বাধিক। নিচে ফ্লিপ-ফ্লপের কিছু সংখ্যক ব্যবহার তুলে ধরা হলাে–
১. Bounce elimination সুইচ তৈরিতে।
২. তথ্যে সংরক্ষণের জন্য রেজিস্টার তৈরিতে।
৩. Frequency divider হিসেবে।
৪. ইলেকট্রনিক কাউন্টার সার্কিট তৈরিতে।
৫. ক্লক ফ্রিকুয়েন্সি সিরিয়াল এবং প্যারালাল স্থানান্তরকরণে।
৬. ক্লক ফ্রিকুয়েন্সি সংরক্ষণ এবং পুন ব্যবহারকরণে।
৭. ডিজিটাল কম্পিউটার তৈরিতে।
৮. বিভিন্ন লজিক গেইট তৈরিতে।
৯. মেমােরি উপাদান হিসেবে এবং
১০. বিভিন্ন গাণিতিক লজিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। এবং
১১. ডেটা ট্রান্সফার করতে ব্যবহৃত হয়।