প্রশ্ন-১. আয়নিক বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর : পরমাণুতে ইলেকট্রন আদান-প্রদানের মাধ্যমে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে আয়নিক বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-২. সান্দ্রতা গুণাঙ্কের মাত্রা কী?
উত্তর : সান্দ্রতা গুণাঙ্কের মাত্রা ML-1T-1।
প্রশ্ন-৩. কৈশিক নল কী?
উত্তর : খুব সরু ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট নলকে কৈশিক নল বলে।
প্রশ্ন-৪. পয়সনের অনুপাত কী?
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পার্শ্ব বিকৃতি ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাতকে পয়সনের অনুপাত বলে।
প্রশ্ন-৫. স্পর্শ কোণ কী?
উত্তর : কঠিন ও তরলের স্পর্শ বিন্দু হতে বক্র তরল তলে অঙ্কিত স্পর্শক কঠিন বস্তুর সাথে তরলের মধ্যে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে উক্ত কঠিন ও তরলের মধ্যকার স্পর্শ কোণ বলে।
প্রশ্ন-৬. সংসক্তি বল কী?
উত্তর : একই পদার্থের অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ বলকে সংসক্তি বল বলে।
প্রশ্ন-৭. আসঞ্জন বল কী?
উত্তর : দুটি ভিন্ন পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে যে আন্তঃআণবিক বল কাজ করে তাকে আসঞ্জন বল বলে।
প্রশ্ন-৮. অসহ পীড়ন কী?
উত্তর : অসহ ভারের ক্ষেত্রে যে পীড়ন প্রযুক্ত হয় তাকে অসহ পীড়ন বলে।
প্রশ্ন-৮. পয়সনের অনুপাতের একক নেই কেন?
উত্তর : একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত বলে পয়সনের অনুপাতের কোনো একক নেই।
প্রশ্ন-৯. স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে হুকের সূত্রটি লিখ।
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পীড়ন এর বিকৃতির সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-১০. কৈশিকতা কী?
উত্তর : সরু কৈশিক নলের মধ্য দিয়ে তরলের উত্থান বা অবনমনকে কৈশিকতা বলে।
প্রশ্ন-১১. আয়তন পীড়ন কাকে বলে?
উত্তর : বস্তুর আয়তন বিকৃতির জন্য বস্তুর তলের একক ক্ষেত্রফলের ওপর লম্বভাবে প্রযুক্ত বলকে আয়তন পীড়ন বলে।
প্রশ্ন-১২. দৈর্ঘ্য পীড়ন কাকে বলে?
প্রশ্ন-১৩. সান্দ্রতা কী?
উত্তর : যে ধর্মের জন্য কোনো প্রবাহীর বিভিন্ন স্তরের আপেক্ষিক গতিতে বাধার সৃষ্টি হয় তাকে ঐ প্রবাহীর সান্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন-১৪. সান্দ্রতা গুণাঙ্কের সংজ্ঞা কি?
উত্তর : প্রবাহীর দুটি স্তরের মধ্যে বেগের নতি একক হলে তাদের একক ক্ষেত্রফলে যে সান্দ্রতা বল ক্রিয়া করে তাকে ঐ প্রবাহীর সান্দ্রতা গুণাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন-১৬. পৃষ্ঠটান কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি তরলের তলের ক্ষেত্রফল এক একক বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে হয় তাকে ঐ তরলের পৃষ্ঠটান বলে।
প্রশ্ন-১৭. পীড়ন কাকে বলে?
উত্তর : বস্তুর একক ক্ষেত্রফলের ওপর লম্বভাবে উদ্ভূত বিকৃত প্রতিরোধকারী বলকে পীড়ন বলে।
প্রশ্ন-১৮. সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর : দুটি পরমাণু যখন ইলেকট্রন শেয়ার করে তখন এদের মধ্যে যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-১৯. পূর্ণ দৃঢ় বস্তু কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব বস্তুর উপর বাইরে থেকে যেকোন পরিমাণ বল প্রয়োগের ফলেও এদের আকার বা আকৃতির কোন পরির্তন ঘটে না তাদের পূর্ণ দৃঢ় বস্তু বলে। বস্তুর পূর্ণ দৃঢ় বস্তু পাওয়া যায় না। কাচ, ইস্পাত ইত্যাদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ণ দৃঢ় বস্তু হিসেবে ধরা যায়।
কৃন্তন গুণাংক কাকে বলে?
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কৃন্তন পীড়ন ও কৃন্তন বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে কৃন্তন গুণাংক বলে।
বরফ পানিতে ভাসে কেন?
উত্তর : একটি বস্তু পানিতে ভেসে থাকবে যদি বস্তু কর্তৃক অপসারিত পানির ঘনত্ব, বস্তুর ঘনত্বের চেয়ে বেশি হয়। আর বস্তুর ঘনত্ব যদি বস্তু কর্তৃক অপসারিত পানির ঘনত্বের চেয়ে কম হয় তবে বস্তুটি পানিতে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত হবে। আমরা জানি পানি জমাট বেঁধে বরফে পরিণত হয়। পানি বরফে পরিণত হলে এর আয়তন বেড়ে যায়, কিন্তু ঘনত্ব কমে যায়। ফলে বরফ কর্তৃক অপসারিত পানির ঘনত্ব বরফের ঘনত্বের চেয়ে বেশি হয়। এ কারণেই বরফ পানিতে ভেসে থাকে।
পাইপ লাইনের মধ্য দিয়ে গরম পানি ও শীতল গ্যাস দ্রুত প্রবাহিত হয় কেন?
উত্তর : তরলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তরলের অণুগুলো তাপ থেকে শক্তি গ্রহণ করে বেশি শক্তি পায় এবং এদের গতি বেড়ে যায় এতে অণুগুলোর গড় মুক্ত পথ বৃদ্ধি পায় ফলে এদের মধ্যে ঘর্ষণ কম হয়। গড় মুক্ত পথ বৃদ্ধির ফলে তরলের স্তরের আপেক্ষিক বাধা কমে যায়। ফলে তরলের সান্দ্রতা হ্রাস পায়। আবার তাপমাত্রা হ্রাস পেলে গ্যাসের সান্দ্রতা হ্রাস পায়। এ কারণে পাইপ লাইনের মধ্য দিয়ে গরম পানি ও শীতল গ্যাস দ্রুত প্রবাহিত হয়।