রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৪)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. ভ্যানডার ওয়ালস বল কাকে বলে?
উত্তর :
 সমযােজী যৌগে পরমাণুসমূহ যে বল দ্বারা আকৃষ্ট থাকে তাকে ভ্যানডার ওয়ালস বল বলে।

প্রশ্ন-২. প্রভাবক কি?
উত্তর :
 প্রভাবক হচ্ছে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যা বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করে কিন্তু বিক্রিয়া শেষে ভরে ও সংযুক্তিতে নিজে অপরিবর্তিত থাকে।

প্রশ্ন-৩. হাইব্রিডাইজেশন বলতে কি বুঝ?
উত্তর :
 দুই বা ততোধিক ভিন্ন কিন্তু কাছাকাছি শক্তি সম্পন্ন অরবিটাল একত্রে মিলিত হয়ে, একই শক্তি সম্পন্ন সমান সংখ্যক নতুন অরবিটাল তৈরির প্রক্রিয়াকে সংকরণ বা হাইব্রিডাইজেশন বলে।

প্রশ্ন-৪. ল্যাপিং কাকে বলে?
উত্তর :
 নির্মান কাজ দীর্ঘায়িত করার জন্য অনেক সময় লম্বা রডের প্রয়োজন পড়ে, প্রয়োজনিয় দৌর্ঘের রড পাওয়া না গেলে একটি রডের সাথে অন্য একটি রড জোড়া দেয়া হয। রড জোড়া দেয়ার এই পদ্ধতিকে ল্যাপিং বলা হয়।

প্রশ্ন-৫. বিক্রিয়ার হার কি?
উত্তর :
 বিক্রিয়ার হার হচ্ছে কোনো বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক বা উৎপাদের ঘনমাত্রা পরিবর্তনের হার। একক সময়ে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রার হ্রাস বা উৎপাদের ঘনমাত্রার বৃদ্ধির হারকে বিক্রিয়ার হার বা গতিবেগ বলে।

প্রশ্ন-৬. জারক কাকে বলে?
উত্তর :
 জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে। অর্থাৎ জারক হচ্ছে ইলেকট্রন গ্রহণকারী পদার্থ।

প্রশ্ন-৭. রাইডার ধ্রুবক কি?
উত্তর :
 রাইডার হল নির্দিষ্ট জানা ভরের একটি অতি সূক্ষ্ম ধাতব তারের বাকানো টুকরা যা ব্যালেন্স বীমের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে। প্রতিটি রাইডারের জন্য নির্দিষ্ট ভরের একটি স্থির সংখ্যাসূচক মান গণনা করা যায়। এ স্থির মান কে ওই রাইডারের জন্য ‘রাইডার ধ্রুবক’ বলে। রাইডার ধ্রুবক দ্বারা অতি সূক্ষ্ম ওজন করা সম্ভব।

প্রশ্ন-৮. পানির সংযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর :
 যে বিক্রিয়ায় আয়নিক যৌগ পানির সাথে যুক্ত হয়ে কেলাস গঠন করে তাকে পানির সংযোজন বিক্রিয়া বলে। পানির সংযোজন বিক্রিয়ায় যত অণু পানি যুক্ত হয় তাকে কেলাস পানি বলে।

প্রশ্ন-৯. সংযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর :
 যে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত হয়ে একটিমাত্র উৎপাদ গঠন করে তাকে  বলে। যেমনঃ C + O2 → CO2।

প্রশ্ন-১০. জারণ বিজারণ বিক্রিয়া কি?
উত্তর :
 জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া হল এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যাতে জারক পদার্থ বিজারিত এবং বিজারক পদার্থ জারিত হয়। একে রিডক্স বিক্রিয়াও বলা হয়। এই বিক্রিয়ায় একই সাথে জারণ ও বিজারণ ঘটে।

প্রশ্ন-১১. Fe এর M শেলে কতটি ইলেকট্রন আছে?
উত্তর :
 Fe এর M শেলে ১৪টি ইলেকট্রন আছে।

প্রশ্ন-১২. পোলার যৌগ কী?
উত্তর :
 যেসব যৌগকে পানিতে মিশ্রিত করলে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে পরিণত হয় তাদের পোলার যৌগ বলে। যেমন, HCl।

প্রশ্ন-১৩. অসম্পৃক্ত মুক্ত শিকল হাইড্রোকার্বন কাকে বলে?
উত্তর :
 যে মুক্ত শিকল হাইড্রোকার্বনে এক বা একাধিক কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন বা কার্বন কার্বন ত্রিবন্ধন থাকে তাকে অসম্পৃক্ত মুক্ত শিকল হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন ইথাইন।

প্রশ্ন-১৪. হাইড্রোকার্বন কাকে বলে?
উত্তর :
 কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন– বেনজিন, ইথেন, প্রোপিন প্রভৃতি।

প্রশ্ন-১৫. ভালো মানের কয়লা কাকে বলে?
উত্তর : কয়লাতে ফিক্সড কার্বনের পরিমাণ ও এর ক্যালরিফিক মান বেশি হলে এবং সালফার, ছাই, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে তাকে ভালো মানের কয়লা বলে।

প্রশ্ন-১৬. পর্যায় সারণিতে কতটি ধাতু আছে?
উত্তর :
 ক্ষার ধাতু ৬টি মৃৎক্ষার ধাতু ৬টি মুদ্রা ধাতু ৩টি মোট ১৫টি।

প্রশ্ন-১৭. এন্টিম্যাটার কী?
উত্তর :
 এন্টিম্যাটার অর্থ প্রতি পদার্থ।

প্রশ্ন-১৮. জারন বিজারন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর :
 যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদসূহের মাঝে ইলেকট্রনের আদান প্রদান ঘটে, তাকে জারণ বিজারণ বা Redox (রেডক্স) বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৯. পেট্রোলের অপর নাম কি?
উত্তর :
 পেট্রোল এর অপর নাম হলো গ্যাসোলিন।

প্রশ্ন-২০. কলাতে কী এসিড থাকে?
উত্তর :
 পাকা কলাতে এমাইল এসিটেট থাকে।