যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক বস্তু এক বা একাধিক নতুন বস্তুতে রূপান্তরিত হয় তাকে রাসায়নিক ক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া (Chemical reaction) বলে।
উদাহরণ : হাইড্রোজেন (H) ও অক্সিজেন (O) পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে পানি উৎপন্ন করে।
2H2 + O2 = 2H2O
এখানে, পানি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন বস্তু। অর্থাৎ, তারা পরস্পর মিলিত হয়ে একটি নতুন বস্তু পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
সুতরাং, এ প্রক্রিয়া একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
রাসায়নিক বিক্রিয়া বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন–
পানিযোজন বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় আয়নিক যৌগ কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক সংখ্যক পানির সাথে যুক্ত হয় তাকে পানিযোজন বিক্রিয়া বলে।
অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগ অধঃক্ষেপ হিসেবে পাত্রের তলদেশে জমা হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
জারণ বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি অথবা ঋণাত্মক চার্জ হ্রাস পায় তাকে জারণ বিক্রিয়া বলে।
অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগ অধঃক্ষেপ হিসেবে পাত্রের তলদেশে জমা হয় তাকে অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া বলে।
জারণ বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি অথবা ঋণাত্মক চার্জ হ্রাস পায় তাকে জারণ বিক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য
রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
- রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ বা উদগীরণ ঘটে।
- রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট উৎপাদের ধর্ম, বিক্রিয়কের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
- বিক্রিয়কের মোট ভর ও উৎপাদের মোট ভর একই হয়।
- বিক্রিয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
- বিক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে জানা যায়।
- উৎপাদের প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যায়।
- উৎপাদের ভৌত অবস্থা জানা যায়।
এখানে যা শিখলাম–
রাসায়নিক ক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে?; রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ; পানিযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে?; অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া কাকে বলে?; জারণ বিক্রিয়া কাকে বলে?;