সিগনাল বলতে সময়ের সাথে ভােল্টেজের পরিবর্তনকে বােঝানাে হয়। যখন ভােল্টেজ শূন্য থাকে এবং সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে উপরে উঠে তখন কিছু পরিবর্তন হয় এবং ভােল্টেজ কমার সাথে সাথে এটি নিচের দিকে নামতে থাকে। সময়ের সাথে ভােল্টেজের এই উঠানামাই হচ্ছে সিগনাল। বিভিন্ন কমিউনিকেশনের জন্য কম্পিউটার সিগনাল ব্যবহার করে থাকে। দুধরনের সিগনাল এতে ব্যবহৃত হতে পারে। এনালগ সিগনাল ও ডিজিটাল সিগনাল।
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে, কম্পিউটার অথবা ডিজিটাল ডিভাইসসমূহ ডেটা কমিউটনিকেশনের উৎস ও গন্তব্য স্থানে ডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার করে এবং মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে ডেটা ট্রান্সমিট বা পরিবাহিত হয় এনালগ সিগনাল হিসেবে। ডেটা কমিউনিকেশনে বা ডেটা ট্রান্সমিশনে সিগনাল ট্রান্সমিট হয় ভােল্টেজের উঠানামার মাধ্যমে। এই উঠানামা প্রকাশের ধরনকে বলা হয় ওয়েভফর্ম।
ডিজিটাল সিগনালের ওয়েভফর্মকে বলা হয় স্কয়ার ওয়েভ এবং এনালগ সিগনালের ওয়েভফর্মকে বলা হয় সাইন ওয়েভ। উভয় ধরনের ওয়েভ ফর্মেই ভােল্টেজের উঠানামা আছে। একটি ওয়েভের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পয়েন্টের দূরত্বকে বলা হয় এমপ্লিচ্যুড। এই এমপ্লিচ্যুড যত বেশি হবে সেই সিগনাল তত শক্তিশালী হবে। এই শক্তিকে মাপা হয় এম্পিয়ার হিসেবে। আর প্রতি সেকেন্ডে কোনাে সিগনাল যতগুলি ওয়েভ তৈরি করে তাই হলাে ফ্রিকোয়েন্সি। এই ফ্রিকোয়েন্সি মাপা হয় হার্টজ (Hz) হিসেবে