যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission) বলে। কীবাের্ড থেকে কম্পিউটারে কিংবা কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা পাঠানাের জন্য এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এ ডেটা ট্রান্সমিশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলােঃ
- যে কোন সময় প্রেরক ডেটা পাঠাতে পারে এবং গ্রাহক/প্রাপক তা গ্রহণ করতে পারে।
- প্রতিটি ক্যারেক্টার এর সাথে একটি স্টার্ট বিট এবং একটি স্টপ বিট পাঠাতে হয়।
- একটি করে ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝখানের বিরতি সবসময় সমান নাও হতে পারে।
- কম ডেটা ট্রান্সমিট এর ক্ষেত্রে বেশি উপযােগী
- গতি কম।
- দক্ষতা কম।
- প্রেরক স্টেশনে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয় না।
- ডেটা চলাচল বন্ধ থাকলে মাধ্যমটি অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে।
- খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা
- যে কোনাে সময় প্রেরক ডেটা স্থানান্তর করতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে।
- ডেটা ইনপুট করার পর তা সংরক্ষণের জন্য ডেটা বাফার রেজিস্টার প্রয়ােজন হয় না।
- ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনাে প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়ােজন হয় না।
- এটির ইন্সটলেশন অত্যন্ত কম।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা
- যখন ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকে তখন ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অকারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে যা মাইক্রোওয়েভ বা স্যাটেলাইট মাধ্যমের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
- সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম।
- ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি কম।
- ডেটা ট্রান্সমিশেনে ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার
- কী-বাের্ড হতে কম্পিউটারে
- পাঞকার্ড রিডার হতে কম্পিউটারে কম্পিউটার হতে কার্ড পারে এবং
- কম্পিউটার হতে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা স্থানান্তর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।